পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় | কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কি
কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যায় ভোগেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রতিদিন আমাদের কাছে অনেকেই পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় জানতে চান। বলা যায়– দৈনন্দিন জীবনে এটি খুবই পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা অত্যন্ত বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক। পায়খানা খুব শক্ত হওয়ার এই সমস্যার কারণে প্রচন্ড পেট ব্যথা ও গ্যাস্টিক আলসারের সমস্যা হয়।
মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত ও অত্যন্ত কষ্টকর এক ব্যথা অনুভব করতে হয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব সাধারণ কিছু ঔষধ সেবন করে, ঘরোয়া কিছু ফলো করে, আবার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে। আসুন জেনে নেই, কোষ্ঠকাঠিন্য/পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি?
মলত্যাগের বেগ পেলে আমরা স্বাভাবিকভাবে টয়লেটে যাই। পরবর্তীতে পায়খানা করার পর সবারই একটা স্বস্তিদায়ক অনুভূতি হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে অর্থাৎ পায়খানা কষা হওয়ার কারণে আমাদের মল ক্লিয়ার হয় না। অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাথরুমে বসে থেকেও সম্পূর্ণ হয় না পায়খানা।
আরো দেখুনঃ কোন খাবারে কত ক্যালরি তা জেনে নিন।
আর এরকম, মলত্যাগ যদি সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা পরিমাণে খুব কম হয় তাহলেই দেখা দেয়। মল স্বাভাবিকের তুলনায় খুবই শক্ত বা শুকনো হয়ে যায়, ফলে বেগ পাওয়া সত্ত্বেও পেট ক্লিয়ার হয় না। আর তখনই একে পায়খানা কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
পায়খানা কষা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও খাদ্য অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। কারণ খাদ্য তালিকায় আশ জাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে পায়খানা কষা হয়। এছাড়াও কারণ হিসেবে আরো রয়েছেঃ
- মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বা স্টক
- অন্ত্রের টিউমার বা কোন গুরুতর সমস্যা
- ডায়াবেটিস
- হাইপোথ্যাইরয়েডিজম
- বিষন্নতা
- মাদক সেবন
- বিভিন্ন ওষুধের সাইড ইফেক্ট
- খাদ্যনালীর জটিল রোগ সহ প্রভৃতি।
আরো দেখুনঃ আঁচিল কেন হয় | মুখের আঁচিল দূর করার উপায়
তবে এসবের পাশাপাশি বাহিরের বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে, সঠিক সময়ে সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে, তরল খাবার কম খাওয়ার কারণে এবং নিদ্রাহীনতার কারণে পায়খানা কষা হয়ে থাকে। এক কথায় পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় হচ্ছে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। কারণ এই দুটি অনিয়মকে কেন্দ্র করেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়।
পায়খানা কষার লক্ষণ | কিভাবে বুঝবেন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে
স্বাভাবিকের চাইতে কম পায়খানা হলেই সেটা কোষ্ঠকাঠিন্যের সর্বপ্রথম লক্ষণ। মূলত সপ্তাহে যদি তিনবারের কম পায়খানা হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় পায়খানা কষা হয়েছে। তবে এর বাইরে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে, সেগুলো হলোঃ
- পায়খানা অত্যন্ত শুকনো হবে
- শক্ত চাকার মতো মল হবে
- স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় আকৃতির মল হলে
- পেটে গ্যাস জমলে
- বমি বমি ভাব হলে
- পেটে ব্যথা করলে
- পায়খানার সময় প্রচন্ড ব্যথা হলে
- পেট ক্লিয়ার হচ্ছে না এমনটা মনে হলে এক কথায় স্বস্তি না পেলে
- পায়খানা করতে কষ্ট হলে।
এই সমস্যা গুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে পায়খানা কষা থেকে বাঁচার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নইলে এর থেকে জটিলতম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
পায়খানা ক্লিয়ার করার বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা রয়েছে। আর আগেও বলেছি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যভাস পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় হিসেবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে পাশাপাশি নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস চালু করতে হবে। আসুন জেনে নেই পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় গুলো সম্পর্কে।
আরো দেখুনঃ
- সর্বদা ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া।
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
- বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা।
- ভাজাপোড়া ও তেল যুক্ত খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
- দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন করা।
- ইসবগুলের ভুষি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস।
- এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী খাওয়া।
- পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে না রাখা
- পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং শারীরিক পরিশ্রম করা
- সর্বদা যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে তা জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা হবে এমন খাবার থেকে দূরে থাকা।
- যেকোনো ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
পায়খানা কষা সমাধানে খাবারের ভূমিকা
যাদের শরীরে ফাইবার এর স্বল্পতা রয়েছে তাদের মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ফাইবার বা আঁশ হলো এক ধরনের শর্করা। আর এটি পেট পরিষ্কারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের যে স্থানে মল তৈরি হয় এবং জমাটবদ্ধ থাকে, সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জ এর মত কাজ করে থাকে।
ফাইবারের কাজ হলো, পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে পানি ধরে রাখা। আর আমরা ইতোমধ্যে এটা জেনেছি– যখন পানির স্বল্পতা অধিক বেড়ে যায় তখনই কষ্টকাঠিন্য হয়। তাই ফাইবার যখন শোষণ ও ধারণ ক্ষমতার মাধ্যমে পানি ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তখন পায়খানা নরম ও ভারি হয় ফলে সহজেই মলত্যাগ করা যায়।
এজন্য দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ফাইবার রয়েছে এমন পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারগুলো থাকা অত্যন্ত জরুরী। পায়খানা কষার সমাধানে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল, সেই সাথে যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে যেগুলো অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখবেনঃ
- গোটা শস্য
- ফলমূল: বেল, পেঁপে
- শাকসবজি
- ঢেঁকি ছাটা চাল
- লাল আটা ইত্যাদি।
অনেকেই বলে থাকে রুটি খেলে পায়খানা কষা বেশি হয়। সত্যি বলতে এই ধারণাটি সম্পূর্ণই মন গড়া। কেননা আটাতে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকে। বিশেষ করে লাল আটায়। তবে এটা সত্যি অতিরিক্ত পরিমাণে পরোটা, নান রুটি ও লুচি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সাথে যে সব খাবারে তেল ও চর্বি অতিরিক্ত থাকে যেমনঃ মাংস, অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া খাবার ইত্যাদি। তাই এই খাবারগুলো যদি এড়িয়ে চলা যায় তাহলে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। তাই পায়খানা কষা ভালো করার উপায় হিসেবে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি করুন এবং সেগুলো মেনে খাবার চেষ্টা করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
পায়খানা কষা সমাধানের পেছনে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বেশ বড় ভূমিকা রাখে। সামান্য কয়েকটি উপকরণে তৈরিকৃত টোটকা ৫ মিনিটের মধ্যে পেট পরিষ্কার করতে সক্ষম। আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে চান তাহলে পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য এই পাঁচটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা– ১
উপকরণঃ দুধ, ইসবগুলের ভুষি।
তৈরির প্রক্রিয়াঃ এক গ্লাস হালকা গরম দুধে তিন থেকে চার চামচ এসব গুলের ভুষি মিক্স।
সেবনবিধিঃ উপকরণগুলো একসঙ্গে মেশানোর পরবর্তীতে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর খেয়ে নিন।
উপকারঃ এই প্রসেসে দুধ এবং ইসবগুলের ভুষি খেলে খাওয়ার পর থেকে এক ঘন্টার ভিতরে পায়খানা ক্লিয়ার হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাটি যদি অনেকটা জটিল হয় তাহলে সকালবেলা ক্লিয়ার হয়ে যাবে পেট।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা –২
উপকরণঃ নিম পাতা
তৈরির প্রক্রিয়াঃ পরিমাণ মতো নিমপাতা পিষে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস সংগ্রহ করুন।
সেবন বিধিঃ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০ থেকে ১২ গ্রামের মতো নিম পাতার রস খান।
উপকারঃ নিয়মিত নিম পাতার রস সেবন পেট ক্লিয়ার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মিমের পাতার রস খেলে ১০ থেকে ২০ মিনিটের ভিতরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা উধাও হয়ে যাবে আর পায়খানা ক্লিয়ার হবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা –৩
উপকরণঃ তালমাখনা
সেবন বিধিঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার করে তালমাখনা সেবন করবেন।
উপকারঃ এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার হয়ে যাবে, কোন প্রকার ব্যথা থাকবে না এবং নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে নির্মূল হবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা –৪
উপকরণঃ নিম পাতা, পানি, লবণ
তৈরীর প্রক্রিয়াঃ নিম পাতা পিষে সামান্য পানি ও লবণ মিশ্রিত করে ছোট ছোট বলাকারে তৈরি করে রোদে শুকানো।
সেবন বিধিঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটা করে নিম পাতার সেই বল গুলো খাওয়া।
উপকারঃ এক সপ্তাহ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা –৫
উপকরণঃ পিপুলের পাতা, পানি, লবণ
তৈরীর প্রক্রিয়াঃ সামান্য বিপুলের পাতা থেকে করে রস সংগ্রহ করুন, তাতে সামান্য পরিমাণ লবণ ও পানি মিশ্রিত করুন।
সেবন বিধিঃ ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাবেন।
উপকারঃ পায়খানা ক্লিয়ার হবে এবং পেটে কোন গড়বড় করবে না সবসময় কোষ্ঠকাঠিন্যতা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
পায়খানা কষার সমাধানে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ভূমিকা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকলে যে কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তাই পায়খানা কষার সমস্যা থেকে বাঁচতে স্বচ্ছ ও সুন্দর পরিবেশে বসবাস করার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যকর জীবন সুস্থতা এনে দিতে পারে। এজন্য মেইনটেইন করে চলুন।
- নিয়মিত ঘুমানোর
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার
- বিশুদ্ধ পানি পান করার
- নিয়মিত শরীর চর্চা করার।
মূলত স্বাস্থ্য জীবন যাপনের অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যসহ যে কোন প্রকার রোগ ব্যাধি থেকে শরীরকে প্রোটেকশন দিতে সক্ষম।
পায়খানা কষা সমাধানে ওষুধের ভূমিকা
প্রত্যেকটি ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এমন কিছু ঔষধ আছে যেগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যেমনঃ
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট
- আয়রন ট্যাবলেট
- কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধ
- আবুপ্রোফেন
- অবিয়েট জাতীয় ব্যথার ঔষধ।
পাশাপাশি কোন কারনে একসঙ্গে পাঁচটার বেশি ওষুধ খেলেও সাইড ইফেক্ট হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তবে পায়খানা কষার সমাধানে আবার ঔষধও সেবন করাও যায়। যেমন: Duralax। এই ওষুধটি খেলে নিয়মিত পায়খানা হবে এবং বেশ ভালো কাজে দেবে। তবে সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কী?
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করা উচিৎ। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় হিসেবে ওপরের নিয়মাবলি অনুসরণ করতে পারেন। তবে বাচ্চার বয়স ২ বছরের কম হলে বা অন্য কোন জটিলতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সতর্কতাঃ দীর্ঘদিন যাবত পায়খানা কষা/কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগলে শীঘ্রই ভালো কোন ডাক্তারের কাছে যান এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের জটিলতা অনেক ভয়াবহ। এর ফলে নানা প্রকারের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে যে যে রোগের আবির্ভাব ঘটে শরীরে, সেগুলো হলো:
- পেট ব্যথা বা ফাঁপা
- প্রসাদের সমস্যা
- অর্শ বা পাইলস
- ফিস্টুলা
- এনাল ফিসার বা গেজ রোগ
- ক্ষুধামন্দা
- থাইরয়েডের সমস্যা
- মলাশয়ের ক্যান্সার
- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
- ইরিটেবল বা অয়েল সিন্ড্রোম
- প্যারিঅনাল অ্যাবসেস সহ-প্রভৃতি রোগ।
তবে হ্যাঁ, আরেকটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আফিম, মরফিন, মানসিক রোগের ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই আপনি এই ওষুধগুলো সেবন করছেন কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখুন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অবশ্যই যে কোন ঔষধ সেবন এবং আক্রান্ত রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।