কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি | কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আসলে কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা, যা শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের...Continue
স্বপ্নদোষ হলো পুরুষদের ঘুমের মধ্যে ধাতু নির্গমন। অনেক সময় দেখা যায় যে ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সী পুরুষদের ঘুমন্ত অবস্থায় গভীর রাতে কিংবা ভোরের দিকে মনের অজান্তেই লিঙ্গ উত্তেজিত হয়ে বীর্যপাত হয়ে যায়। এই বীর্যপাত হয় অনেক সময় স্বপ্নে অনেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবার মাধ্যমে কিংবা কোন ধরনের স্বপ্ন দেখা ছাড়াই। তবে লিঙ্গ উত্থান ছাড়াও অনেক সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে স্বপ্নদোষ শরীরের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও এর পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন এটি শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ জনিত সমস্যার শুরুর দিকেই ঘরোয়া কিছু জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করলে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
স্বপ্নদোষ কিছু ক্ষেত্রে যৌন সমস্যা জনিত কারণে হয় আবার অনেক সময় কোন কারন ছাড়াই হয়ে থাকে। তবে এটা বেশি দেখা যায় টিনেজার পুরুষদের ক্ষেত্রে। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের ৮৫% পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর বাহিরে ৯৮% পুরুষরা স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী অবিবাহিত 15 বছর বয়সী ছেলেদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ০.৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। কিন্তু বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৯ বছর বয়সীদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ০.১৫ বার স্বপ্নদোষ হয়।
স্বপ্নদোষের প্রধান কারন গুলোর মধ্যে লিঙ্গের দুর্বলতা, স্নায়ু দুর্বলতা, বীর্যের ঘনত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা, উত্তেজক সিনেমা দেখা কিংবা পর্নো সিনেমা দেখা, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে যৌন উত্তেজনাকর কোন কাজ করা কিংবা কোন কিছু দেখা উল্লেখযোগ্য। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু পুরুষদের ঘুমানোর পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করেও স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। যেমন একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে স্বপ্নদোষে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ পুরুষের স্বপ্নদোষ হয় চিৎ হয়ে ঘুমানোর কারণে। তাছাড়া বীর্যের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন সেটি ভেতরে থাকতে না পেরে অনেক সময় স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে মূত্রথলিতে অত্যাধিক মুত্র জমে যাওয়ার কারণে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে।
বিশ্ব বিখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে তার গবেষণায় দেখেছেন যে ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘন ঘন স্বপ্নদোষ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যারা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ খুব কম হয় অন্যদিকে যাদের ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তারা কম হস্তমৈথুন করেন।
গবেষণা অনুযায়ী পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বপ্নদোষের মাত্রা ১৭% থেকে ৯০ শতাংশ গিয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশিরভাগ বালকদের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের প্রথম অভিজ্ঞতা হিসেবে পরিগণিত হয় এটি।
মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ৫ হাজার ৬২৮ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ৪০% মহিলারা ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের জীবনে কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। এদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মহিলারা ২১ বছর বয়সে এবং কিছু মহিলারা ১৩ বছর বয়সে প্রথম এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।
পুরুষদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ এর ফলে বীর্য স্খলন এর কারণে যৌনাঙ্গ একেবারে ভিজে যায়। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিপথে নিঃসরণ ছাড়াই স্বপ্নদোষ হতে পারে।
১৮ এবং ১৯ শতকের দিকে যদি কারো ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হতো তাহলে সেটা ধাতু দুর্বলতা বা স্পারম্যাটোরিয়া হিসেবে বিবেচিত হতো। এ ক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করে থাকেন যদিও বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী এর কোনো ভিত্তি নেই।
মাসে ২ থেকে ৩ বার স্বপ্নদোষ হওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এই পরিমাণ যখন অত্যধিক বেড়ে যাবে তখন এটি শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। স্বপ্নদোষের কারনে যে সকল ক্ষতিকর প্রভাব মানবদেহে পড়ে থাকে সেগুলো হলোঃ
স্বপ্নদোষ এর ফলে এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
হ্যাঁ, স্বপ্নদোষ দিনে হোক কিংবা রাতে হোক, হবার পর ওই ব্যক্তির ওপর গোসল ফরজ হয়ে যায়। গোসল না করলে কিংবা লিঙ্গ পানি দিয়ে পরিষ্কার না করলে সেখানে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হ্যাঁ, ছেলেদের মত মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বীর্যের পরিমান কম থাকায় ছেলেদের মতো কাপড় একেবারে ভিজে যায় না। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ হলে মেয়েদের যৌনাঙ্গ কিছুটা ভিজে যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে বিশেষ কোনো করণীয় নেই। বরং পারতপক্ষে স্বপ্নদোষ হওয়ার পর মূত্র ত্যাগ করতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
প্রথমত স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা জরুরি। গোসল না করে কিংবা শরীর পরিষ্কার না করে পারতপক্ষে কোথাও যাওয়া না কোন কাজ করা উচিত নয়। তবে কোন কিছু করতে চাইলে বা কোথাও যেতে চাইলে গোসল না করলে সে ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য অযু করে নেয়া উত্তম। কিন্তু যদি আপনি প্রার্থনা বা ইবাদত করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে।
হ্যাঁ, স্বপ্নদোষ হলে রোজা হবে। কিন্তু রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করার মাধ্যমে শরীর পরিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় রোজা হালকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়ার শুরুর দিকেই যদি বুঝতে পারা যায় তবে কিছু নিয়ম-কনুন এবং জীবন যাপনের পদ্ধতি অনুসরণ করলে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় মেনে চললে স্বপ্নদোষ কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন
আশাকরি যাদের অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের সমস্যা রয়েছে তারা উপরের নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। স্বপ্নদোষ এক ধরনের রোগ যা লুকিয়ে রাখার মাধ্যমে কখনো নিজের ক্ষতি করবেন না। সময়মতো চিকিৎসা না করলে স্বপ্নদোষের কারনে যৌনাঙ্গ পঙ্গু হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আসলে কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা, যা শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের...Continue
ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা পুরুষত্বহীনতা বলতে বোঝানো হয় যৌন সঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান না হওয়াকে। অর্থাৎ কোন পুরুষ যদি তার সঙ্গিনীর...Continue
৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় জানতে চান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। কারণ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়...Continue
এলার্জি দূর করার উপায় বলতে আমরা শুধু ঔষধ সেবনই বুঝে থাকি। কিন্তু ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এবং ঘরোয়া...Continue