সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়

সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় এই প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেক বিবাহিত মহিলাদেরই জানা উচিত। সহবাস করার পর এই যে একজন নারী সব সময় গর্ভবতী হবেন বিষয়টা এমন নয়। গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে পিরিয়ডের দিন এর ওপর। চলুন আজকে আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।

Ask Question

গর্ভবতী হবার সঠিক সময়

মহিলাদের গর্ভধারণ তাদের পিরিওডের চক্রের সাথে সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কিত। শারীরিকভাবে সুস্থ প্রত্যেক মহিলার পিরিওডের চক্র ধরা হয় ২৮ থেকে ৩৩ দিন। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী পিরিয়ড শুরু হবার আগের সাত দিন এবং পরের ৭ দিন নিরাপদ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার পিরিওডের তারিখ যদি মাসের ১৫ তম দিন হয় তবে ১৫ তারিখের আগে ৭ দিন এবং পরের সাত দিন নিরাপদ সময়। এই সময়ে আপনি যেভাবেই সহবাস করেন না কেন গর্ভধারণের সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। কিন্তু এই সময়ের বাহিরে যে দিনগুলো রয়েছে সেগুলোকে উর্বর সময় হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ এই অল্প সময়ে যদি বীর্য কোন ভাবে আপনার যোনির ভেতরে প্রবেশ করে তবে নিশ্চিতভাবে আপনি গর্ভবতী হবেন। তবে এই হিসেব শুধু তাদের জন্য যাদের নিয়মিত মাসিক হয়।

আরো পড়ুনঃ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি?

Honey Sponsored

সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়

সহবাসের পর স্পার্ম বা শুক্রাণু নারীর জরায়ুর ভেতরে প্রবেশ করে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। যদি কোন নারী তার পিরিয়ড শুরু হবার ১৪ তম দিনে কিংবা তার আশেপাশে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই সহবাস করে তবে তার গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং সঠিক সময়ে যদি সহবাস করা হয় তবে সহবাসের চার থেকে পাঁচ দিন পরেই সেই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়বেন। তবে পিরিয়ডের ১৪ তম দিন কিংবা এর আশেপাশের তারিখ ছাড়াও একজন নারী গর্ভবতী হতে পারেন কিন্তু সেই সম্ভাবনা টা অনেক কম। আবার প্রথমবার মিলন এই যে একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়বেন বিষয়টা এমন নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে নারী এবং পুরুষের শারীরিক সুস্থতা ও পিরিয়ডের উর্বর দিনগুলোর ক্রমের উপর। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ?

সহবাসের পর কি শুয়ে থাকতে হয়

না। শুক্রাণু যেকোনোভাবে যোনির ভেতর দিয়ে জরায়ুতে পৌঁছানো মাত্রই ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। এক্ষেত্রে সহবাসের পর শুক্রাণুর ভালোভাবে জরায়ুতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে শুয়ে থাকা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি তথ্য। 

আরো পড়ুনঃ মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

আশা করছি সহবাসের কতদিন পর একজন নারী গর্ভবতী হয় সে সম্পর্কে আমরা পরিস্কার ধারনা দিতে পেরেছি। এরপরেও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তা আমাদেরকে করতে পারেন। 

RelatedPosts

মাসিক না হওয়ার কারণ

নিয়মিত মাসিক না হওয়ার কারণ গুলো জেনে নিন

মাসিক না হওয়ার কারণ হিসেবে সাধারণত অনেকেই গর্ভধারণকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু গর্ভধারণ ছাড়াও এমন অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো সঠিক সময়ে মাসিক হতে বাধা প্রদান করে। সাধারণত সাধারণত... Continue

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং গর্ভের সন্তানের জন্য ছোটখাটো কিছু ভুল বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনতে... Continue

পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কী

পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কী

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কি হতে পারে সেটা ভেবে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। জেনে রাখা ভালো যে পিল মাসিক হওয়ার কোন ঔষধ নয় বরং... Continue

বিয়ের পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

বিয়ের পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ। প্রাকৃতিক ও চিকিৎসার মাধ্যমে।

বিয়ের পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ দাম্পত্য জীবনের অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়ায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ করে নবদম্পতিরা দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে ভুগে থাকেন। কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে... Continue

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয়

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয়

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকেই শুধুমাত্র রক্তকরণ বন্ধের ঔষধ সেবনকেই সমাধান হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু জেনে রাখা উচিত যে সহবাসের পর রক্তক্ষরণ... Continue

খুশকি দূর করার উপায়

খুশকি দূর করার উপায়

ত্বকের সাধারণ সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হলো খুশকির সমস্যা। এই সমস্যার আবির্ভাব ঘটে যখন মাথার ত্বকের আদ্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, ফলে পড়তে হয় একটি বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে। অবশ্য... Continue