মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রশ্ন হল মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় ? পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ পার হয়ে যাবার পর অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকেন যে গর্ভবতী হয়ে পড়লেন কিনা। আমাদের জেনে রাখা উচিত যে গর্ভবতী হওয়া ছাড়াও পিরিয়ড মিস হতে পারে।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?

অনেকের মদ্ধেই একটা প্রশ্ন কাজ করে যে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়। সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ৯০ শতাংশ মহিলাদের গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। অনেকের হয়তো এর আগেও বোঝা যেতে পারে। কিন্তু প্রেগনেন্সির সম্পূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ রয়েছে।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় মর্নিং সিকনেস। তবে এটা রাতেও দেখা দিতে পারে। এতে করে নারীরা শরীরে প্রচন্ড দুর্বলতা অনুভব করে। সেই প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ঘুরায়। মর্নিং সিকনেস দেখা যায় সাধারণত গর্ভধারণের এক মাস পর থেকে।

৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর নারী দেহে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে সবসময় গা গুলাতে থাকে। এতে যেকোন সময় বমি হতে পারে। প্রায় ৮০ শতাংশ নারীই গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বমির সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

পাশাপাশি স্তন নরম হয়ে যাওয়া, স্তনে হাল্কা ব্যাথা অনুভুত হওয়া কিংবা স্তন ভারী অনুভুত হতে পারে। অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

গর্ভধারণের ফলে মুড সুইং হয়ে থাকে। হঠাৎ করে রেগে যাওয়া, আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়া, উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, মাঝে মাঝে মাথা ঘুরানো ইত্যাদি দেখা দিলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করে নিন।

তাছাড়া ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ এবং অনিয়মিত ব্লিডিং দেখা দিতে পারে। প্রিরিয়ডের তারিখ ছাড়াই যদি হঠাৎ ব্লিডিং দেখা দেয় তাহলেও প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করিয়ে নিন।

ফোরপ্লে কি এবং কিভাবে করতে হয় ?

খাবারের অভ্যাসেও পরিবর্তন দেখা দেয়। ক্ষুধা বেড়ে যাবার পাশাপাশি অপছন্দের খাবার গুলো পছন্দনীয় হয়ে পড়ে। তাছাড়া দিনে বা রাতের যেকোন সময় ক্ষুধা লাগে।

অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়াও গর্ভধারণের আরেকটি লক্ষণ। ওভ্যুলেশান এর ফলে গর্ভধারণ হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এই সময় কিডনি অতরিক্ত পরিমাণে তরল নিঃসরণ করে। এই তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বাহিরে বের হয়ে আসে।

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় ?

মিলনের পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় হলো পিরিয়ডের তারিখ পার হবার অন্তত ১০ দিন পর। কারণ পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়না বললেই চলে। 

  • পিরিয়ড মিস হবার কমপক্ষে ১০ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে।
  • যদি প্রথম বার নেগেটিভ আসার পরেও পিরিয়ড না হয় তাহলে ৫ দিন পর পুনরায় টেস্ট করা উচিত।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিভাবে করে

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়? আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় বা প্রতিমাসে একটু পিছিয়ে যায় তাহলে পিরিয়ডের লাস্ট দিন থেকে ৩৫-৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করুন। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ইউরিন দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। এই সময়ে ইউরিন অনেক বেশি ঘনীভূত অবস্থায় থাকে যার কারণে ইউরেনে HCG হরমোনের উপস্থিতি অনেক ভালোভাবে বোঝা যায়।

কিন্তু পিরিয়ডের ডেট আসার আগেই যদি আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করেন বা অনেক জল খেয়ে টেস্ট করেন তাহলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।উপযুক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও অনেক সময় গর্ভে সন্তান এসে যায়। তাই পিরিয়ড মিস হলে অথবা উপরোক্ত প্রেগনেন্সি লক্ষণ গুলো দেখা দিলেই কোন ঝুঁকি না নিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিন।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় ?

৯০% মহিলার লক্ষণ প্রকাশ পেতে 8 মাস সময় লেগে যায়। তবে মাসিক মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে প্রেগনেন্সি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল মূত্র পরীক্ষা করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া। স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে অনেক সময় ভুল ফলাফল আসে যদিও সেটার সংখ্যা খুবই কম।

মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট ?

না। গর্ভবতী না হয়েও মাসিক বন্ধ হতে পারে। তবে সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয় গর্ভবতী হবার কারণেই। মাসিক বন্ধ হলে বাড়িতে টেস্ট করতে পারেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে যদি পজিটিভ ফলাফল আসে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Source: https://my.clevelandclinic.org/health/articles/9709-pregnancy-am-i-pregnant

Related medical and medicine article

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি | কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আসলে কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা, যা শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের...Continue

ইরেকটাইল ডিসফাংশন

ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে মুক্তির উপায়

ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা পুরুষত্বহীনতা বলতে বোঝানো হয় যৌন সঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান না হওয়াকে। অর্থাৎ কোন পুরুষ যদি তার সঙ্গিনীর...Continue

ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় জানতে চান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। কারণ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়...Continue

এলার্জির চিকিৎসা

এলার্জি দূর করার উপায় | ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা

এলার্জি দূর করার উপায় বলতে আমরা শুধু ঔষধ সেবনই বুঝে থাকি। কিন্তু ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এবং ঘরোয়া...Continue

arrow_right_alt