অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি?
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি সে সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। মহিলাদের জন্য অনিয়মিত মাসিকের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটে মাসিক নিয়মিত করনের কিছু উপায় দেওয়া রয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন। তবে বিভিন্ন রোগের কারণে কিংবা যৌন সমস্যার কারণে অনিয়মিত মাসিক হলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। অর্থাৎ যাদের মাসিক নিয়মিত নয় তাদের ক্ষেত্রে ওভুলেশন ঘটে না। এন টিভির একটি অনুষ্ঠানে একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার জয়শ্রী সাহা বলেন, যে সকল রোগীদের নিয়মিত মাসিক হয় না তাদের ক্ষেত্রে কনসিভ করার পূর্বে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ করতে হবে। মাসিক একবার নিয়মিত হলে তারপরে বাচ্চা নেওয়া যাবে। তবে যদি আপনার মাসিক অনিয়মিত হয় সে ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
ওজন কমান বা বাড়ান
আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত বেশি কিনব অতিরিক্ত কম হয়ে থাকে তবে আপনার ওজন কমান কিংবা বাড়ান। শরীরের ওজন অত্যাধিক পরিমাণে কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলে অনিয়মিত মাসিকের মতো সমস্যা বেড়ে যায় যার ফলে বাচ্চা নিতে সমস্যা হয়।
পলিসিসটিক ওভারি
পলিসিস্টিক ওভারি এমন একটি সমস্যা যার কারণে মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক, মোটা হয়ে যাওয়া, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্চিত লোম ওঠা, অবসাদ খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যা থাকতে পারে। যদি আপনি এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাছাড়া শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখলে পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
- সহবাসের পর জ্বলে কেন । মুক্তি পেতে যা করবেন
- সহবাসের সময় যোনি শুকিয়ে যায় কেন । ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস
- বাচ্চা হওয়ার পর পিল খাওয়ার নিয়ম কী
- সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয়
- ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম ও উপকারিতা
হরমোনের প্রভাব
ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন মূলত মহিলাদের মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যদি শরীরে কোন কারণে এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায় তবে মাসিকে গোলমাল দেখা দিতে পারে। এমনটা হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ফাস্টফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস যত দ্রুত সম্ভব পরিত্যাগ করুন। তেল জাতীয় খাবার কমিয়ে দিয়ে শাকসবজি ফলমূল এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করুন। সেই সাথে শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন যেন ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে নেয়া যায়।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। জন্মনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা পিল সেবন বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কিংবা কনডম ব্যবহার করুন।
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
আগেই বলা হয়েছে যে অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়া যায় না। এমনকি চিকিৎসকরাও সরাসরি এই সমস্যার সমাধান দিতে পারেন না। তবে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করে দেখতে পারেন। পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করার উপায় গুলো মেনে চলে অনেক সময় অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও যদি কোনভাবেই আপনার অনিয়মিত মাসিকের কারণে বাচ্চা না হয় তবে সামর্থ্য অনুযায়ী টেস্টটিউব বেবি নিতে পারেন। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে বাচ্চা নেওয়ার হাজারো উপায় তৈরি হয়েছে। সুতরাং মন খারাপ না করে মাসিক নিয়মিত করার চেষ্টা করুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন।