স্থায়ীভাবে পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় । পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম | লিঙ্গ বড় করার উপায়
পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম, পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় বা লিঙ্গ বড় করার উপায় বলতে সবচেয়ে কার্যকরী যে পদ্ধতিটিকে বোঝানো হয় সেটি হল পরিমিত শারীরিক ব্যায়াম করা। বর্তমান সময়ে পুরুষরা মনে করে থাকেন যে যৌন সঙ্গমের সময় সঙ্গিনীকে সর্বোচ্চ সুখ দিতে বড় লিঙ্গ এবং মোটা লিঙ্গের কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে মহিলাদের সর্বোচ্চ যৌনসুখ পেতে হলে তাদের যোনির ভেতরে জি-স্পট স্পর্শ করা প্রয়োজন। আর জি-স্পট স্পর্শ করতে বড় এবং মোটা লিঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ধারণা লোকমুখে প্রচলিত হলেও এ সম্পর্কে চিকিৎসাবিজ্ঞানে সুনির্ধারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বরং বলা হয়েছে যে মহিলাদের জি-স্পট উত্তেজিত করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেক্স পজিশন। এটি একেক মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে।
পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায়ঃ
সময়ের সাথে সাথে ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারিত হয়েছে। তাই এখন পুরুষরা হরহামেশাই খোঁজাখুঁজি করে থাকেন লিঙ্গ মোটা করার উপায় ও পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় কি সে সম্পর্কে। গুগোল এ খোঁজাখুঁজি করলে আপনি অনেক লেখা এবং ভিডিও পেয়েও যেতে পারেন। তবে সেগুলো আপনার কাছে কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কি ব্যবহার করা নিরাপদ?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে লিঙ্গ বড় করার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। তবে এই ব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যদি আপনি লিঙ্গ বড় করার উপায় হিসেবে ঔষধ সেবন করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে লিঙ্গ বড় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার আগে আসুন পুরুষের লিঙ্গের সাইজ আকার সম্পর্কে জেনে নেই।
আকার অনুযায়ী লিঙ্গের প্রকার
- কোন ব্যক্তির লিঙ্গ যদি ৮.১২ সেন্টিমিটার বা ৩.২ ইঞ্চি হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক আকার হিসেবে ধরা হয়।
- উত্তেজিত অবস্থায় আপনার লিঙ্গ যদি ৯.১৪ সেন্টিমিটার বা ৫.১ ইঞ্চি হয় তবে এটি পুরুষের লিঙ্গের গড় বা স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য ধরা হয়।
- অনেক সময় উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ১১.৬৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম বা লিঙ্গ বড় করার উপায়
লিঙ্গ বড় এবং মোটা করতে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের অবদানে অনেক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে স্বাভাবিকভাবে আমাদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেই খুব সহজে লিঙ্গ বড় এবং মোটা করা সম্ভব। যে সকল ব্যায়ামের মাধ্যমে লিঙ্গ বড় এবং মোটা করা যায় সেগুলো নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
কেগেল ব্যায়াম | এটা বীর্যপাতের সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে লিঙ্গের এবং শরীরের পেশি শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। |
আল্টিমেট স্ট্রেচার | যাদের লিঙ্গ বাঁকা তাদের জন্য এটি সবচেয়ে বেশী কার্যকরী। এই ব্যায়াম শুরুর পূর্বে শরীর রিলাক্স মোডে রাখতে হবে। |
শেকিং | এটি লিঙ্গের সেন্সিটিভিটি কমিয়ে আনার মাধ্যমে ইরেকশনের সময় বৃদ্ধি করে। |
কেগেল ব্যায়াম
এই ব্যায়াম মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও জনপ্রিয় একটি ব্যায়াম হিসেবে পরিচিত। ইরেকশন বা বীর্যপাতের সময় বৃদ্ধি করতে এটি অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে শরীর বিদ্যা প্রমাণিত। এই ব্যায়াম করতে হলে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনার লিঙ্গের পিসি বা নিউবকোক্সীজিয়াস পেশী খুঁজে বের করতে হবে। এই পেশির মাধ্যমেই মূলত আমাদের মল এবং মূত্র নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই পেশী খুঁজে পাওয়ার পর আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এটি চেপে ধরে রাখুন এবং তারপরে ছেড়ে দিন। ২ সেকেন্ড পর পুনরায় পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এই পেশী চেপে ধরুন এবং আবার ছেড়ে দিন। এভাবে যদি প্রতিদিন ২০ মিনিট করে নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আপনার লিঙ্গ বড় এবং মোটা হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুনঃ মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।
আল্টিমেট স্ট্রেচার
আল্টিমেট স্ট্রেচার ব্যায়াম এর মাধ্যমে লিঙ্গের আকার বড় ও মোটা করার পাশাপাশি যাদের লিঙ্গ বাঁকা তাদের জন্য আরো বেশি উপকারী। এই ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে শরীর অবশ্যই রিলাক্স মুডে নিয়ে যেতে হবে। এরপর এক হাত দিয়ে লিঙ্গের ডগা ধরতে হবে এবং অন্য হাত লিঙ্গের গোড়ায় দিয়ে রাখতে হবে। এভাবে লিঙ্গের গোড়ায় এক হাত রেখে অন্য হাত দিয়ে একেবারে পেটের কাছে লিঙ্গ টেনে ধরে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড চেপে ধরে রাখুন। লিঙ্গের আগায় এমনভাবে ধরবেন না যাতে ব্যথা লাগতে পারে। এভাবে একহাত লিঙ্গের আগায় এবং আরেক হাত লিঙ্গের গোড়ায় দিয়ে উপরে নিচে ডানে এবং বামে লিঙ্গ টেনে ধরে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য চাপ দিয়ে রাখুন। একবার চাপ দিয়ে রাখার পর ৫ সেকেন্ডের জন্য বিশ্রাম নেবেন এবং পুনরায় এই প্রক্রিয়া কমপক্ষে ১০ বার চালিয়ে যাবেন। এই পদ্ধতি দিনে একবার অবলম্বন করলে লিঙ্গ খুব সহজে মোটা এবং বড় হবে। সেই সাথে যাদের লিঙ্গের বক্রতা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বাকা লিঙ্গ সোজা হয়ে যাবে।
শেকিং
এটি অনেকটা মাস্টারবেশনের মত মনে হলেও আরতে সেরকম কিছু নয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন উত্তেজনাবশত বীর্যপাত না হয়ে যায়।
শুরুতে লিঙ্গ এক হাত দিয়ে ভালোভাবে ধরে আস্তে আস্তে ঝাকানো শুরু করবেন। এরপর এই গ্রুপে ধীরে ধীরে বাড়াবেন। এভাবে একবারে সর্বোচ্চ ২০০ বার করতে হবে। যদি মনে হয় যে বীর্যপাত হয়ে যাবে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে। প্রতিদিন এই ব্যায়াম করলে লিঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের পর প্রথমবার মিলনের নিয়ম
লিঙ্গ শক্ত করার প্রাকৃতিক উপায়
তাছাড়া লিঙ্গ বড় ও মোটা করতে আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন সেটি হল সামনের দিকে টেনে ধরে মালিশ করা পদ্ধতি। মালিশ করার আগে হাতের তালুতে খাঁটি সরিষার তেল কিংবা খাঁটি মধু মেখে নিলেন মালিশ করতে সুবিধা হবে। রাতে মধু অথবা তেল মেখে নিয়ে লিঙ্গের গোড়া দুই আঙ্গুল দিয়ে হালকা করে ছেপে ধরে সামনের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। এ সময় খেয়াল রাখবেন যেন উত্তেজনাবশত হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্য বেরিয়ে না যায়। এতে ভালো ফল এর পরিবর্তে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।
সতর্কতা
লিঙ্গ বড় করার উপায়গুলো প্রাকৃতিক হলেও এর কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দিক রয়েছে। যদি এই ব্যায়ামগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে করা হয়ে থাকে তবে লিঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু লিঙ্গের কোন হাড় থাকে না সে ক্ষেত্রে লিঙ্গের টিস্যু নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও যদি ব্যায়াম করার সময় ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাত হয়ে যায় তবে সেটা উপকারের চেয়ে ক্ষতি ডেকে আনে। ব্যায়ামের সময় যে সকল বিষয় খেয়াল করা উচিত সেগুলো হলো
- লিঙ্গ কখনো জোরে শক্ত করে চেপে ধরবেন না।
- অতিরিক্ত পরিমাণে আংগুল দিয়ে কিংবা হাত দিয়ে ঘষাঘষি করা যাবে না। এতে করে চামড়া ছিঁড়ে যেতে পারে।
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে লিঙ্গ স্পর্শ করবেন না। এতে জীবাণুর আক্রমণে ফাঙ্গাস জাতীয় সংক্রমণ দেখা দেবে।
- অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে লিঙ্গের স্নায়ুতন্ত্রের ভঙ্গুরতা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অক্ষমতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- লিঙ্গের গায়ে কালো কালো দাগ হয়ে যেতে পারে।
লিঙ্গ বড় ও মোটা করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলো রাতারাতি আপনাকে ফলাফল দেবেনা। নিয়ম মেনে লিঙ্গ বড় করার ব্যায়াম ও পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় গুলো অনুসরণ করলে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন পাওয়া সম্ভব। সুতরাং ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করুন। এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে ভুলবেন না।