গুড়া কৃমির ওষুধের নাম কী
পিনওয়ার্ম বা গুড়া কৃমি একটা প্যারাসাইট বা পরজীবী, যা সাধারণত সুতা কৃমি নামে পরিচিত। এটা মানুষের মলাশয় বা মলদ্বারে থাকে। এর ডিম গুলো আকারে খুবই ছোট। প্রায় দেখাই যায়না। এই পরজীবী মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। এরা সংখ্যা বৃদ্ধি করে কিন্তু অন্য প্রাণীদের আক্রমণ করে না। কোন ব্যক্তি গুড়া কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে এই কৃমি ক্ষুদ্রান্তে বেড়ে ওঠে এবং তারপর মলদ্বারে বংশ বৃদ্ধির জন্য ডিম পাড়ে।
জেনে অবাক হবেন যে একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে ০.২ মিলি লিটার রক্ত শুষে নেয়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্ত শূন্যতায় ভোগে। বড়রাও প্রতিনিয়তই ভুগে থাকেন এ সমস্যায়।
গুড়া কৃমির ওষুধের নাম কী
কৃমি হলেও ওষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। কিন্তু অনেকেই নানা ভুল ধারণার জন্য ভয়ে কৃমির ওষুধ খান না। আবার শিশুদেরও খাওয়াতে চান না। তবে কৃমি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ও ভালো ঔষধ হলো সোলাস ট্যাবলেট বা সিরাপ। ওষুধটি ট্যাবলেট এবং সিরাপ দুই ধরনের পাওয়া যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুই বছরের বেশি বয়সের শিশু হলে ১০০ মিলিগ্রাম বা ১ চা-চামচ তিন দিনের জন্য প্রতিদিন দুইবার করে খেতে হবে। যদি পুনরায় সংক্রমণ ঘটে তবে দ্বিতীয় ডোজ টি ২ সপ্তাহের পর প্রয়োজন হতে পারে।
- শুক্রাণু বৃদ্ধির ঔষধের নাম কী
- মেয়েরা যেভাবে হস্তমৈথুন করে
- ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- ইনডেভার ১০ কেন খায়
- জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়
- ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম । ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
- ইমকন ১ খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
- স্থায়ীভাবে লিঙ্গ বড় করার উপায় । পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম
- সহবাসে থুথু ব্যবহার করা যাবে কি না
- গরমে ডায়ারিয়া বা ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি ।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ। প্রাকৃতিক ও চিকিৎসার মাধ্যমে।
- এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো কী কী ?
বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম
কৃমি হল শিশুদের অন্ত্রে বসবাসকারী পরজীবী যা বাচ্চাদের খাদ্য থেকে তাদের পুষ্টি অর্জন করে এবং এর ফলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেবেন্ডাজোল ও পিরান্টেল হল শিশুদের গুড়া কৃমি নিধনের জন্য সবথেকে নিরাপদ এবং কার্যকরী ঔষধ।
এছাড়াও রিজ- এর পিনওয়ার্ম ওষুধ টি ও অনেক বেশি কার্যকরী। তবে এ ওষুধটি বেশিরভাগই বড় বাচ্চাদের জন্য নির্ধারিত একটি নিরাপদ ও সুপরিচিত ওষুধ।
গুড়া কৃমি তাড়ানোর উপায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটে কৃমি থাকে। তাই বলে এটিকে সাধারণ সমস্যা বলে অবহেলা করলে মারাত্মক ফল হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় ক্রিমি এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- নিয়মিত রসুন খেলে কৃমি সংক্রমণ এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে রসুনের টিএনটি প্যারাসাইটিক অর্থাৎ পরজীবীনাশক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনের প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে উপকার পেতে পারেন।
- কৃমি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শসার বীজ অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। শসার বীজ রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে রোজ সকালে এসএমএস করে খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকালে দুইটি করে লবঙ্গ খেলে এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি মেরে ফেলে।
- দু’চামচ মিষ্টি কুমড়ার বিচির গুড়া 3 কাপ পানি দিয়ে আধাঘন্টা সিদ্ধ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও এক চামচ মিষ্টি কুমড়ার বীজের গুঁড়ার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে কৃমির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
- কৃমি সমস্যা দূর করতে গাজর অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে গাজর খেলে গাজরে থাকা ভিটামিন এ সি বিটা ক্যারোটিন এবং জিংক শরীরের কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- প্রতিদিন খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারলে তা পেটে এসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওই অ্যাসিড শরীরে প্যারাসাইট ও ক্ষতিকর জীবনের লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ হলো এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। যার তিনি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আধা কাপ উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য হলুদ গুঁড়া এবং লবণ মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। এই মিশ্রণ পাঁচ দিন পর পর খেতে হয়।
- আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম শরীরে বাসা বেঁধেছে থাকা প্যারাসাইট বা পরজীবী মারতে সাহায্য করে। পরপর তিন চারদিন শুধু আনারস খেয়ে থাকতে পারলে কৃমির সমস্যা সম্পূর্ণ ভাবে সারানো সম্ভব।
নোংরা পরিবেশ ও অনিরাপদ পানি পান অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খালি পায়ে হাটা কৃমি সংক্রমণ এর জন্য দায়ী। তাই কৃমি সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ পানি পান, পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা উচিত।