ওরাল সেক্স
ওরাল সেক্স বলতে বোঝানো হয় মুখ ঠোঁট জিহ্বা এগুলো ব্যবহার করে যৌনাঙ্গ উত্তেজিত করার কার্যকলাপ কে। একজন মহিলা পুরুষের যৌনাঙ্গে এবং পুরুষ যদি মহিলার যোনিতে মুখ কিংবা মুখের কোন অংশ ব্যবহার করে যৌন কার্যকলাপ করে থাকেন তখন সেটা ওরাল সেক্স হিসেবে গণ্য হয়। এইচআইভি কিংবা অন্যান্য যৌন রোগের সংক্রমনের হার ওরাল সেক্সের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।
ওরাল সেক্স কি নিরাপদ?
ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন রোগের সংক্রমনের হার অনেকাংশে কম হলেও এর ফলে গলার ক্যান্সার হতে পারে। হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস এর আক্রমণের ফলে এই ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ৬ জনের অধিক যৌন সঙ্গীর সাথে জড়িত লোকদের গলার ক্যান্সারের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি।
আরো পড়ুনঃ সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়
এছাড়া ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারীদের যৌনাঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস নামক রোগ হতে পারে। তবে এটি কোন যৌন রোগ নয়। নারীদের যোনিতে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে এই রোগ হতে পারে।
অন্যদিকে যারা নিয়মিত ওরাল সেক্স করে থাকেন তাদের যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। এতে করে সেখানে অতিমাত্রায় ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় যার ফলে যৌন সংবেদনশীলতা অনেকাংশে কমে যায়।
যাদের হারপিস গনোরিয়া এবং ক্রপস এর মত যৌন রোগ রয়েছে তাদের জন্য ওরাল সেক্স অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং আপনার পার্টনারের সঙ্গে ওরাল সেক্সের জড়িত হবার পূর্বে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।
আরো পড়ুনঃ স্থায়ীভাবে লিঙ্গ বড় করার উপায় । পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম
মানুষের মুখে যে সকল ব্যাকটেরিয়া থাকে সেগুলো নারীদের যোনিতে ছড়িয়ে পড়লে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে এখনো তেমন কোন গবেষণা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এ ব্যাপারে নিয়মিত গবেষণা চলছে।
ব্রিটিশ এসোসিয়েশন অফ সেক্সুয়াল হেলথ এর মুখপাত্র অধ্যাপক ক্লডিয়া এস্টকোর্ট বলেছেন যে সকল নারীরা ওরাল সেক্সে জড়িত থাকেন তাদের ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস রোগ হবার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। তবে এই রোগ না হলেও ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌন রোগের জীবাণু এবং নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া যোনিতে প্রবেশ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ও কার্যকরী কিছু খাবার।
ওরাল সেক্স কি ইসলামে বৈধ?
আল্লাহ কুরআনে বলেন–
”তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।”-বাকারাঃ ২২৩
এর দ্বারা বোঝা যায় যে স্ত্রীর সাথে যেকোন ভাবে মেলামেশা করা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী জায়েজ করা হয়েছে। তবে হাদিসে এসেছে যে তোমরা পশুর মত সেক্স করো না। যেহেতু পশুরা সাধারণত ওরাল সেক্স করে না সে ক্ষেত্রে বোঝা যায় যে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ওরাল সেক্সের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এটি ফোরপ্লে হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে এনাল সেক্স সম্পূর্ণরূপে হারাম।
আরো পড়ুনঃ জিনসেং এর উপকারিতা কি ?
তবে অনেকে বলে থাকেন যে মুখ দিয়ে কোরআন এবং হাদিস উচ্চারণ করা হয় সেই মুখ যৌনাঙ্গে লাগানো কতটা যুক্তিসম্পন্ন। এক্ষেত্রে ইসলামিক স্কলাররা বলে থাকেন যে হারাম এবং হালাল কোন যুক্তির ওপর নির্ভর করে না বরং কুরআন ও হাদিসের দলিলের ওপরে নির্ভর করে।
আরো পড়ুনঃ ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে সর্বোপরি এটা বলা যায় যে ওরাল সেক্স মজাদার হলেও এর খারাপ কিছু দিক রয়েছে। এর মাধ্যমে যৌন রোগে আক্রান্ত না হলেও অন্যান্য কিছু মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এটি অনেকের কাছে অভিরুচির ব্যাপার ও বটে।