Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math-pro domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি | কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় | DoctLab

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি | কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আসলে কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা, যা শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের মাঝে দেখা যায়। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এই সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, কম্পিউটারে কাজ করা অথবা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম দীর্ঘ সময় ধরে করার ফলে কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। 

Ask Question
কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি

আরও পড়ুনঃ ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন

এক কথায়– উঠতে বসতে যেমন সমস্যার সৃষ্টি হয়, ঠিক একইভাবে যেকোনো কাজ করতে গিয়ে অশান্তিতে ভুগতে হয়। আপনারা অনেকেই কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা কোমর ব্যাথার ট্যাবলেট কি এবং এর নাম এবং কোমর ব্যাথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট, সেসাথে কোমর ব্যাথার ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে অবগত করব। 

Honey Sponsored

কোমর ব্যথা কি

কোমরের পেশী, লিগামেন্ট, হাড়, দুই কোষেরুকার মধ্যে অবস্থিত অংশ, জোড়া, জোড়ার আবরণ, এবং স্নায়ুর ব্যথাজনিত রোগ হচ্ছে কোমর ব্যথা। সাধারণত মেরুদন্ডের পেছনের দিকের অংশ ব্যথায় জর্জরিত হলে তাকে কোমর ব্যথা বলা হয়। মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে কোমর ব্যথা সমস্যায় কবলিত। এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেই না, যারা কোমরের সমস্যায় ভুগছেন না। তবে কোমর ব্যথাকে আমরা মাজার ব্যথা বললেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয়, স্পাইন। মূলত হার ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে মেরুদন্ডের দুটি কোষেরুকার মাঝখানে যে ডিস্ক আছে সেটা ক্ষয় হয়ে যায়, ফলে শুরু হয় ব্যাথা, আর তখন এটাকে বলা হয় স্পন্ডাইলোসিস। 

কোমর ব্যথার কারণ কি

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি, কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম, মাজা ব্যাথার ঔষধের নাম, মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার, কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে এটা জানা প্রয়োজন যে, অধিকাংশ মানুষের মূলত কেন কোমর ব্যথা হয়ে থাকে? কোমর ব্যথা মানেই কি কিডনির সমস্যা? আসলে অনেক সময় আমরা কোমর ব্যাথাকে কিডনির কারণে ব্যথা বলে ভুল করে বসি। তবে কিডনির সাথে কোমর ব্যথার কোন সম্পর্ক নেই বললেই চলে। কোমর ব্যথার মূলত বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যা চিকিৎসকরা তুলে ধরেছেন সেই সাথে ব্যক্ত করেছেন যে, উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শতকরা ৯০% মানুষ দুই মাসের মধ্যে কোমর ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। আসুন এ পর্যায়ে কোমর ব্যাথার কারণ গুলো সম্পর্কে অবগত হই। 

  • ✓ লাম্বার স্পনডোলাইসিস: প্রত্যেক মানব শরীরের কোমরে পাঁচটি হার রয়েছে। যদি সেগুলো বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়- তাহলে সৃষ্টি হয় কোমর ব্যথার, তখন সেটাকে বলা হয়– লাম্বার স্পনডোলাইসিস।
  • ✓কোমর ব্যথার অন্যতম শক্তিশালী একটি কারণ হচ্ছে পিএলআইডি। ২৫ থেকে ৪০ বছর মানুষের মধ্যে সাধারণত কোমর ব্যথা দেখা দেয় এই কারণটির জন্য। মানব শরীরে হাড়ের মধ্যে ফাঁকা স্থান থাকে। আর সেই ফাঁকা জায়গা পূরণ থাকে তালের শাঁস এর মত চাকতি অর্থাৎ ডেস্ক দিয়ে। আর সেটা যদি কোন কারনে সরে যায়, তখন স্নায়ু মূলের ওপরে বেশ চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে অনুভূত হয় কোমর ব্যথার। 
  • ✓কখনো কখনো যক্ষার কারণে বুকে ব্যথার পাশাপাশি কোমর ব্যথার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই কোমর ব্যথার আরেকটি কারণ হচ্ছে যক্ষা।
  • ✓ ক্যান্সার, এইডস, অস্টিওপোরোসিস সেই সাথে দীর্ঘকাল স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনও কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ।

এক কথায়, কোমর ব্যথার সমস্যা মূলত স্ট্রেইন, ফ্র্যাকচার, ডিস্ক সমস্যা, কাঠামোগত সমস্যা, বাত রোগের সমস্যা সে সাথে অন্যান্য রোগের কারণে হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায় | ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি? কোমর ব্যথা মানুষের খুবই কমন একটি রোগ সেই সাথে অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি সমস্যা। তাই কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এ সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত জরুরী। যে বা যারা কোমর ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন তারা অনেকেই ঠিকমতো বুঝতে পারেন না, কি করবেন? তাই কখনো নিজের অজান্তে আন্দাজের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ সেবন করেন, যার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এবং কোমর ব্যথার ট্যাবলেট নাম গুলো সম্পর্কে জানার পূর্বে আপনার সবার আগে এটা জানার প্রয়োজন, মূলত কেন এবং কি কারনে আপনার কোমর ব্যথা হচ্ছে। কেননা সঠিক কারণ ও লক্ষণ চিহ্নিত করার পরবর্তীতে আপনি কোমর ব্যথার ঔষধ সেবন করতে পারবেন। নচেৎ আন্দাজের উপর ভিত্তি করে ওষুধ সেবনের ফলে, কোমর ব্যথার সমস্যা ভালো হওয়ার বিপরীতে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই কোমর ব্যথার ট্যাবলেট সেবন করার পূর্বে টেস্ট করুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি কি

আপনি যদি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, তাহলে কোমরের ব্যথার উপর ভিত্তি করে আপনাকে বেশ কিছু ঔষধ সেবন করার নির্দেশ প্রদান করা হতে পারে। সেগুলো হচ্ছে:

  • আইবুপ্রোফেন 
  • ন্যাপ্রক্সেন সোডিয়াম

মাজা ব্যাথার ঔষধ হিসেবে এই দুটি অনেক বেশি কার্যকরী। কেননা মাজা, কোমর বা পিঠের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে এই ঔষধ। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত ব্যবহার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে শরীরে। সেই সাথে ঔষধের মিথস্ক্রিয়ার ফলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং নির্দেশ মত সেবন করুন। এর পাশাপাশি আরো কিছু ট্যাবলেট রয়েছে। সেগুলো হলো:–

  • Naprox (500mg) 
  • Napro (500mg) 
  • Diproxen (500mg) 
  • Sonap ( 500mg)
  • Ecless (500mg)
  • Napryn ( 500mg)
  • Napro A (500mg)
  • Xenapro (500mg)
  • Nuprafen (500mg) 
  • Naspro (500mg)

মনে রাখবেন, ব্যথার ঔষধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম। শুধুমাত্র চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে অল্প সময়ের জন্য আপনি ওপিওড যুক্ত অক্সিকোডন অথবা হাইড্রোকডোন ব্যবহার করতে পারেন। নচেৎ নয়। যেহেতু কোমর ব্যথার কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, তাই সেই সব সমস্যাগুলো থেকে বাঁচতে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসুন সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুস্থ লাইফস্টাইল মেন্টেন করে চলুন। চিকিৎসকরা বলে থাকেন, ব্যথা কখনো হারে হয় না। অনেকে আমরা ভেবে থাকি কোমর ব্যথা মানে হচ্ছে কোমরের ভেতরে যে হার রয়েছে সেখানে ব্যথা। কিন্তু না। কোমর ব্যথা মানে কোমরের হারে নয় বরং কোমরের পেশীতে ব্যথা। 

আরও পড়ুনঃ পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কী

কোমর ব্যথার চিকিৎসা

যেহেতু কোমর ব্যথা সমস্যাটি যখন তখন যে কারো দেখা দিতে পারে, সেই সাথে এর অনেক কারণ রয়েছে, তাই অবশ্যই কোমর ব্যথার চিকিৎসা খুব দ্রুত নেওয়াটা জরুরী। কোমরে ব্যথা যে শুধু বয়স্কদের হবে এমনটা নয়। বলা যায় আজকাল কোমরের ব্যথার সমস্যায় অধিকাংশ অল্পবয়সীরা ভুগছেন। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারী ও পুরুষরা। আর কম বয়সে কোমরের ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মেইন কারণগুলো হচ্ছে:

  • স্লিপ ডিস্ক
  • দাঁড়িয়ে অথবা বসে একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় থাকা
  • ভুল ভঙ্গিমায় অতিরিক্ত ভারী ওজন তোলা ইত্যাদি ইত্যাদি। 

কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা যেটা উরু হয়ে পায়ের দিকে নেমে আসে। ফলে ধীরে ধীরে পায়ের পেছন দিকের পেশীও বেশ শক্ত হয়ে যায় আর শুরু হয় যন্ত্রণা সেই সাথে ব্যথা। অবশ্য এটা হওয়ার সম্ভাবনা অধিক বেশি খেলোয়াড়দের মাঝে দেখা যায়। তাই আপনি যদি কোমরের ব্যথায় ভোগেন তাহলে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট সেবন করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

কোমর ব্যথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট

বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর। তাই ইন্টারনেটে অধিকাংশ মানুষ কোমর ব্যাথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট, কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি –এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কখনো আন্দাজ এর উপর ভিত্তি করে বলা সম্ভব নয়। এমনকি আন্দাজের উপর ভিত্তি করে কারো পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করাটাও বোকামি। তাই অনলাইন মাধ্যমে বা যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে কোমর ব্যথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট, কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম জেনে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও ঔষধ সেবন করবেন না। তবে হ্যাঁ, কোমর ব্যথার এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ট্যাবলেট হচ্ছে– Esgipyrin 50 Mg/500 Mg Tablet

আরও পড়ুনঃ পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় | কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কি

কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

সত্যি বলতে, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য যতটা পারা যায় ঔষধ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখাটা অনেক বেশি জরুরী। আমরা যদি চাই তাহলে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে কিছু বিষয় মেন্টেন করে চলে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। এর জন্য মূলত প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের, পরিমিত ব্যায়ামের এবং দৈনন্দিন জীবনে সঠিক মাত্রা পরিশ্রম ও ঘুমের। কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি এ বিষয়ে জানার পূর্বে আপনাদের অবশ্যই এটা জানা প্রয়োজন, কি কি বিষয় মাথায় রেখে চলাফেরা করলে শরীরের রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবে না এই সম্পর্কে। তবে হ্যাঁ, যদি ঔষুধের মাধ্যমে কোমর ব্যথার সমস্যার সমাধান ভোগ করতে চান তাহলে কোমর ব্যথার ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় সেবন করবেন। তবে কোমর ব্যথার ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা রয়েছে। যেগুলো খুব সহজেই কাজে লেগে যেতে পারে। 

✓ছেক দিন

কোমরের ব্যথার ট্যাবলেটের চাইতে অধিক বেশি কার্যকরী হতে পারে এই ঘরোয়া পদ্ধতি। তাই কোমর ব্যথার সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন সেক দিন। যে জায়গায় ব্যথা অনুভব করবেন সেখানে গরম ছেক দিলে ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

✓আদা খান

কোমরের ব্যথা দূরীকরণে আধা অনেক বেশি কার্যকরী। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কোমরের ব্যথা দূর করার জন্য ওষুধের পরিবর্তে আদা খেতে পারেন। কেননা আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবজনিত কারণে মূলত মানব শরীরে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে খুব সহজেই মিলবে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি

✓ হলুদ খান

আধার পাশাপাশি দুধের সাথে নিয়ম করে প্রতিদিন হলুদ খেলেও কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই কোমর ব্যথা দূরীকরণে নিয়মিত হলুদ খান।

✓এলোভেরা সেবন করুন

এলোভেরা আমাদের শরীরের জন্য এমনিতেই অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। যেটা আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি এবং ব্যবহার করতে পারি। বহুদিন আগে থেকে এটা প্রমাণিত যে মাজা বা কোমরের ব্যথা দূর করতে এলোভেরার শরবত অনেক বেশি কার্যকরী। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরার শরবত পান করার চেষ্টা করুন। 

✓মেথি খান

মেথির বীজ শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শস্য উপাদান। গুড়া দুধ আর মেথি বীজ একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে যদি ব্যথাযুক্ত স্থানে মেসেজ করা যায় তাহলে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সেই সাথে মেথি খেতেও পারেন। যা অনেকটাই কোমরের ব্যথা দূরীকরণে সাহায্য করবে। 

সেই সাথে নিয়মিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার অর্থাৎ দুধ, ঘি, পনির, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন সেই সাথে নিয়ম মাফিক ঘুমান। 

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি বৈজ্ঞানিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন চিকিৎসা। একজন ফিজিওথেরাপির চিকিৎসক মূলত ভুক্তভোগী ব্যক্তির ব্যথার সঠিক রোগ নির্ণয় করেন, পরবর্তীতে চিকিৎসা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ম্যানুয়াল থেরাপি, এক্সারসাইজ, ম্যানিপুলেশন থেরাপি বিভিন্ন ফিজিক্যাল এজেন্ট, সে সাথে নিডলিং ও মেডিটেশন সহ শরীরের ব্যথা নিরাময়, অবস্থানের উন্নতি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যথা আবার ফিরে আসা প্রতিরোধ করতে পারেন। সেই সাথে অস্ত্রোপচার বা অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করেও কোমর ব্যথার চিকিৎসা হয়। 

কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম

পিঠ ও কোমরের ব্যথা দূর করতে চাইলে কয়েকটি আসন/ ব্যায়াম নিয়মিত করলে আপনি দ্রুত ফলাফল পেতে পারেন। 

সলভাসন-১

উপর হয়ে শুয়ে থুতনি ম্যাটে লাগিয়ে হাত দুটি দুই উরুর নিচে রাখুন। খেয়াল রাখবেন পায়ের পাতা যেন টানটান থাকে। পরবর্তীতে শ্বাস টেনে নিয়ে যান এবং পা উপরে তুলুন ও স্থির ভাবে ধরে রাখুন। পরবর্তীতে বাবা শিথিল অবস্থায় রেখে ডান পায়ের জোরেই ডান পা উপরে তুলুন। এভাবে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকার পর শ্বাস ছাড়ুন এবং উপরে তোলা পা নিচে নামান। পরবর্তীতে একইভাবে দুই পা একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে স্বস্তির সাথে শ্বাস প্রশ্বাস নিন।

সলভাসন-২

উপর হয়ে শুয়ে ডান হাত সামনে টান টান করে বা হাত কোমরের ওপর ভাঁজ করে রাখুন। অবশ্যই থুতনি মাটিতে লেগে থাকবে। এরপর শ্বাস টেনে নিয়ে ডান হাত মাথা বুক ও বা পা উপরে তুলে ফেলুন। আসলে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে। এ সময় খেয়াল রাখবেন যে হাত উপরে তুলবেন সেটা যেন কানের সঙ্গে লেগে থাকে।

সলভাসন–৩

উপোর হয়ে শুয়ে পড়ুন এরপর এক হাত দিয়ে আরেক হাতের কবজি ধরুন। পরবর্তীতে দুই পায়ের পাতা একসঙ্গে রেখে টানটান করে রাখুন সেই সাথে শ্বাস নিয়ে মাথা বুক উপরে তুলে ফেলুন। এভাবে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং মোট তিন থেকে পাঁচবার করে একই রকম আসন গ্রহণ করুন। এগুলো মূলত খুব সহজেই কোমর ও পেটের ব্যথা দূরীকরণ করবে। 

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি

কোমর ব্যাথা থেকে দূরে থাকার উপায়

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি–এটা জানার প্রয়োজন পড়বে না যদি আপনি কিছু বিষয়ে মাথায় রেখে চলতে পারেন এবং কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার কি সে সম্পর্কে জানেন। তাই কোমর ব্যাথা থেকে দূরে থাকতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন এবং নিয়মিত করবেন সেগুলো হচ্ছে:

  • বেশিক্ষণ একটানা বসে থাকবেন না
  • একটানা কোন কাজ না করে মাঝে মাঝে উঠে পড়ুন এবং হাঁটুন
  • ফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে হেঁটে হেঁটে কথা বলুন
  • দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাটার সময় খুঁজে বের করুন
  • কোমর ভাঁজ হলে শরীর চর্চা করুন
  • মাটিতে বসে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন
  • পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন
  • পরিমাণ মতো পানি পান করুন
  • নরম ম্যাট্রেস অথবা ফোমের বিছানায় শোয়া থেকে দূরে থাকুন
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন এবং সোজা হয়ে ডান কাধ ফিরে সঠিকভাবে শয়ন করুন। 

সর্তকতা: আশা করছি– কোমর ব্যথার ট্যাবলেট কি, এ সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি আপনাকে। তবুও যদি কোমর ব্যাথার ট্যাবলেট কি এই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান অথবা প্রশ্ন সেকশনে গিয়ে প্রশ্ন করুন। দেখুন যেহেতু কোমর ব্যথা একটি অতি পরিচিত সমস্যা, আর এটা অল্পবয়স্ক সকলের মাঝেই দেখা যায়-তাই অতি দ্রুত সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা অনেক বেশি জরুরী। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন নিজের শারীরিক অসুস্থতার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন ও দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

RelatedPosts

ইরেকটাইল ডিসফাংশন

ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে মুক্তির উপায়

ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা পুরুষত্বহীনতা বলতে বোঝানো হয় যৌন সঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান না হওয়াকে। অর্থাৎ কোন পুরুষ যদি তার সঙ্গিনীর সাথে যৌন সঙ্গমের সময় যোনিত লিঙ্গ প্রবেশের জন্য... Continue