বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং কিছু প্রাকৃতিক উপায়।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম জানতে চান অনেক মহিলারা। এর প্রধান কারণ হলো বাচ্চা হবার পর বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পায়না। বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে কোন ধরনের ঔষধ কিংবা ট্যাবলেট সেবন না করে প্রথমত তার শারীরিক কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। 

Ask Question

 

বুকের দুধ কমে যাওয়ার কারণ

মায়ের বুকের দুধ না আসার প্রধান কারণ হলো পুষ্টিহীনতা। মায়ের শরীরে যদি পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে না এটাই স্বাভাবিক। এই পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, শাক সবজি এবং আরো অন্যান্য সুষম খাদ্য গ্রহণ না করার কারণে। তাই বুকের দুধ কমে গেলে ডাক্তারের কাছে যাবার পূর্বে এই ব্যাপার গুলো অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরেও যদি বুকের দুধ কমে যায়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Honey Sponsored

 

আরো পড়ুনঃ শুক্রাণু বৃদ্ধির ঔষধের নাম কী?

 

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার উপায়

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার অন্যতম উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার, শাক সবজি এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা। কারণ শিশু মায়ের বুকের যে দুধ পান করে তা উৎপন্ন হয় মায়ের শরীরের পুষ্টি উপাদানগুলো থেকে। সুতরাং মায়ের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান না থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বুকের দুধের পরিমাণ কমে যাবে। বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার গুলোর মধ্যে সবুজ শাকসবজি, দুধ, ডিম, মাছ মাংস, কলিজা অন্যতম এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাছাড়া বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ঔষধ সেবনের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা উত্তম।

 

আরো পড়ুনঃ ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ডাক্তাররা অনেক সময় ডমপেরিডন ম্যালিয়েট গ্রুপের ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই গ্রুপের বিভিন্ন ঔষধ গুলো হল অমিডন, ডন এ, পেরিডন ইত্যাদি। এই ঔষধ গুলো আসলে বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ নয়। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো সেবন করলে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়। এতে করে বুকের দুধও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অনেক সময় ডমপেরিডন গ্রুপের ঔষধ না দিয়ে অনেক চিকিৎসকরা মমভিট ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  তবে জটিলতা এড়িয়ে চলতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করা উচিত।

 

সর্বোপরি বলা যায় যে ঔষধ সেবন করে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার চেয়ে পুষ্টিকর খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি করা উত্তম। এটি মায়ের শরীরের জন্য যেমন উত্তম তেমনি সন্তানের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। 

RelatedPosts

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ ক্যাপসুল মূলত ভিটামিন ই মুখে খাওয়া হয় এবং প্রয়োজনে বাহ্যিকভাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী ই-ক্যাপ ক্যাপসুল এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ই... Continue

কোন পিল সবচেয়ে ভালো

কোন পিল সবচেয়ে ভালো? জন্মবিরতিকরণ পিল।

জন্মবিরতিকরণ এর জন্য কোন পিল সবচেয়ে ভালো এমন প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা নিয়মিত হয়ে থাকি। আজকে আমরা মুখে খাবার সকল পিল গুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং এদের মধ্যে তুলনামূলক... Continue

কনডম ব্যবহারের নিয়ম সুবিধা ও অসুবিধা

কনডম ব্যবহারের নিয়ম সুবিধা ও অসুবিধা।

আমরা কমবেশি সবাই কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানতে চাই। কিন্তু কোথায় থেকে জানবো সেটা খুঁজে পাই না। কারণ আমাদের দেশে যৌন সংক্রান্ত বিষয়গুলো গোপনে আলোচনা করা হয় এবং ট্যাবু... Continue

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয়

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয়

সহবাসের পর রক্তক্ষরণ কেন হয় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকেই শুধুমাত্র রক্তকরণ বন্ধের ঔষধ সেবনকেই সমাধান হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু জেনে রাখা উচিত যে সহবাসের পর রক্তক্ষরণ... Continue

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রশ্ন হল মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় ? পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ পার হয়ে যাবার পর অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকেন যে গর্ভবতী হয়ে পড়লেন... Continue

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়ঃ অনিয়মিত মাসিক নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, ওজন কমে যাওয়া কিংবা আরো বিভিন্ন কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।... Continue