এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো কী কী ?
এলার্জি হলো এক ধরনের ইমিউন সিস্টেম অবস্থা যা শরীরে চুলকানি সহ বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে । শরীরে এলার্জি উঠে বিভিন্ন এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এবং পরিবেশ পরিস্থিতি সাপেক্ষে।
এলার্জি হলে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি সহ বিভিন্ন অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। যেসকল লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে আপনি এলার্জিতে ভুগছেন সেগুলো হলোঃ
- শরীরে জায়গায় জায়গায় ফুলে যাওয়া
- শরীরে চুলকানি
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- ফুলে যাওয়া জায়গায় লাল হয়ে যাওয়া
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া
- অতিরিক্ত হাঁচি হওয়া
- সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া
- গলার ভেতরে খুসখুসে কাশি হওয়া
- মাথা ঘেমে যাওয়া
- জিহ্বা ফুলে ওঠা
- বমি হওয়া
- শরীরের রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি।
ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়।
মোনাস ১০ কেন খায় ?
এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?
এই লক্ষণ গুলি শরীরে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ পেতে পারে। এলার্জির কারণ হিসেবে বংশগত, শরীর মোটা হওয়া, শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব এবং অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
এলার্জি জাতীয় খাবার
অনেক সময় খাবার এর মাধ্যমে শরীরে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। গরুর মাংস, হাঁসের ডিম ও মাংশ, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ ও বেগুন এই খাবারগুলো এলার্জি জাতীয় খাবার। যে সকল খাবার এর মাধ্যমে এলার্জি হয়ে থাকে সেগুলো হলো:
- গরুর দুধ এবং মাংস,
- হাঁসের ডিম,
- খাসির মাংস,
- বাদাম,
- চিংড়ি মাছ,
- বেগুন,
- হাঁসের মাংস,
- ইলিশ মাছ,
- চাল এমনকি বিভিন্ন ধরনের ফলের মাদ্যমেও খাদ্যে অ্যালার্জি হতে পারে।
এলার্জির ঔষধ হিসেবে মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা একেবারেই অনুচিত। বরং যে সকল খাবার বা পরিবেশগত অবস্থানের কারণে এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই এলার্জি প্রতিরোধ করা যায়।
পাশাপাশি ভিটামিন-ডি এবং প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় যা এলার্জি থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।