জেনে নিন কাঁঠালের উপকারিতা

মানুষের দেহের যেসব পুষ্টির প্রয়োজন প্রায় সবই আছে কাঁঠালের মধ্যে। কাঁঠালের এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো জানলে আপনারা অবাক তো হবেনই পাশাপাশি মনে মনে ভাবতে থাকবেন, এতদিন কাঁঠাল না খেয়ে কী ভুলটাই না করেছেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমাদের আজকের এই লেখাটি থেকে জেনে আসি কাঁঠাল খাওয়ার এমন কিছু উপকারিতা যেগুলো আমাদের কাছে একদম অজানা।

Ask Question
কাঁঠালের উপকারিতা

কাঁঠালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সমূহ

কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিংক এবং নায়াসিন সহ বিভিন্ন রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। 

আরও পড়ুনঃ লিচুর উপকারিতা

Honey Sponsored

সত্যি বলতে আপনি যদি কাঁঠালের পুষ্টিমান সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনার মাথা ঘুরতে থাকবে, কারণ কাঁঠাল এতটাই পুষ্টিসমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদদের মতামতের উপর ভিত্তি করে বলা যায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পুষ্টিমান হিসেবে মোট কার্বোহাইড্রেট ২৪ গ্রাম, ডায়াটারি ফাইবার ২ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ভিটামিন-এ ২১৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মিলিগ্রাম। খনিজ পদার্থ-১.১ গ্রাম, ৪৮, আমিষ ১.৮ গ্রাম, শর্করা ৯.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মি. গ্রাম, লৌহ-০.৫ মি.গ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.১১ মি. গ্রাম, ভিটামিন বি-২ ১৫ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ২১ মি.গ্রাম, ক্যারেটিন ৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম, আঁইশ ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, জলীয় অংশ ৮৮ গ্রাম থাকে।  

আর এই প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো এবার জেনে নিন কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে।

১. ক্যান্সার যোদ্ধাঃ ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের কবল থেকে বাঁচতে হলে কাঁঠাল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, এতে রয়েছে লিগনাস সাপনিস নামক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কোনো ব্যক্তি যদি চাহিদামত এই ফল খেয়ে থাকেন তাহলে সে মুক্তি পেতে পারে কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখ গহ্বরের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যানসার এর মতো প্রভৃতি ভয়াবহ ক্যান্সারের হাত থেকে। 

২. সংক্রমণ জনিত রোগের রক্ষকঃ কাঁঠালে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলস থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে বাসা বাঁধা সংক্রমণজনিত যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ জাম্বুরার উপকারিতা ও অবিশ্বাস্য গুনাগুণ

৩. ওজন কমাতে ভূমিকা রাখেঃ যাদের শরীর অত্যন্ত মোটা, যারা নিজেদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ ফল কাঁঠাল। হয়তো ব্যপারটা অবাক মনে হতে পারে তবে এটাই সত্যি, কাঁঠাল খাওয়ার কারণে মানুষের ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়। কারণ, এতে রয়েছে নিতান্ত কম পরিমাণ চর্বি। তাই, যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই কাঁঠালের মৌসুমে নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে হয়তো বেশ কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার ফলাফল।

৪. উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা সমাধানের অন্যতম নিয়ামকঃ কাঁঠাল এমন একটি ফল যেটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যার সমাধান মিলবে। কারণ, এটি হলো পটাশিয়াম এর উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে প্রায় পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। আর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এর ভূমিকা অপরিসীম। তাই, যাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা মুক্তি পেতে খাদ্য তালিকায় কাঁঠালকে রেখে দিন।

৫. দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করেঃ এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যেগুলো শরীরে বাসা বাঁধা দুরারোগ্য রোগ গুলোর বিরুদ্ধে কার্য সম্পাদন করে থাকে। তাই রোগমুক্ত শরীর পেতে অবশ্যই কাঁঠাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৬. রক্তস্বল্পতার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার অন্যতম মাধ্যমঃ কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, নিয়াচিন এবং ভিটামিন বি-৬। পাশাপাশি আরও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল সমৃদ্ধ উপাদান। যেমন ধরুন: কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম সহ প্রভৃতি যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই, যারা রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপযুক্ত ফল এটি। 

আরও পড়ুনঃ কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

৭. চোখের সমস্যার প্রতিষেধকঃ চোখ মানুষের শরীরের একটি সংবেদনশীল অঙ্গ। যেটি অকার্যকর হয়ে গেলে আমাদের জীবনটাই বৃথা। তাই যাদের চোখের কোনো সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁঠাল খান। কারণ, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ যা আমাদের চোখের জন্য অপরিহার্য একটি পুষ্টি উপাদান। আপনারা অনেকেই জানেন না যে কাঁঠাল খাওয়ার অভ্যাসের কারণে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়, চোখ ভালো থাকে এবং এটি আমাদের ত্বকের বলিরেখা বা ভাঁজ প্রতিহত করতে সক্ষম। তাছাড়াও কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। আর এই উপাদান চোখের রেটিনা বা অক্ষিপটের ক্ষতি প্রতিহত করতে সক্ষম।

৮. হাড় মজবুত ও শক্ত করেঃ কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই ক্যালসিয়ামের আধিক্যের জন্য এটি হাড়ের গঠন সুদৃঢ় ও মজবুত করতে সক্ষম। তাছাড়াও পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত যে, এটি অস্টিওপোরোসিস নামের হাড়ের ক্ষতিকারক রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই, আপনারা যদি হাড়ের সমস্যায় ভোগেন এবং শরীরের হাড় মজবুত করতে চান তাহলে খাবারের তালিকায় নিতে পারেন জাতীয় ফলের সাহায্য।

৯. ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম নিয়ামকঃ অনেক অনেক রোগের মধ্যে খুব পরিচিত একটি রোগ ডায়াবেটিস। যেটা নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত একটু একটু করে কষ্ট পায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো আমাদের এই জাতীয় ফল কাঁঠাল এ থাকা প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আর সে কারণেই ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কাঁঠাল একটি আদর্শ ফল।

১০. ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধান করেঃ অনেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক টাকা খরচ করেন, ঔষধ সেবন করেন, তবুও ফল মিলে না। কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন সি সহ বেশ কিছু উপাদান যা শরীরের পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। আর এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। তাছাড়াও ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, কাঁঠাল খেলে ত্বকের বয়স কমে যায়। 

১১. গর্ভবতী মায়েদের সুস্থতার অন্যতম উৎসঃ প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে একজন গর্ভবতী নারী ও তার শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। পাশাপাশি গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে, এমনকি দুগ্ধদানকারী মা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাহলে, বুঝতেই পারছেন কাঁঠাল আমাদের জন্য কতটা উপকারী ফল।

১২. কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখেঃ কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যেগুলো বদহজম দূর করে পেট কে রাখে পরিষ্কার। তাই, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাদ্য তালিকায় এই ফলটিকে রাখুন, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। তবে হ্যাঁ, কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে কাঁঠাল ছাড়াও কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন। 

১৩. হৃদরোগ প্রতিরোধের অন্যতম নিয়ামকঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। তাছাড়াও কাঁঠালে থাকা ভিটামিন বি-৬ হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। তাই, বলা যায় যে, হৃদ রোগ প্রতিরোধের অন্যতম নিয়ামক কাঁঠাল। আপনারা যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের তালিকায় কাঁঠাল ফলটিকে রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা

১৪. মস্তিষ্কের সুস্থতা দান করে এবং আমিষের চাহিদা পূরণ করেঃ যারা অতিরিক্ত টেনশন করেন এবং নার্ভাস ফিল করেন তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল হলো কাঁঠাল। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত যে, টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও এটি আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই, যারা মাছ মাংস কম খেয়ে থাকেন তাদের জন্য আমিষের চাহিদা মেটাতে কাঁঠালের বিচি উৎকৃষ্ট খাবার। 

১৫. অ্যাজমা রোগের প্রতিরোধকঃ কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতা মাঝে রয়েছে অ্যাজমা প্রতিরোধের গুণাবলী। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুঁটিয়ে সেই পানি পান করা হয় তাহলে এই রোগ থেকে খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। কাঁঠাল এমন একটি ফল যেটাতে কোলেস্টেরল নাই বললেই চলে। আর তাই কাঁঠাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। যেকোনো বয়সের মানুষই এটা খেতে পারে। কাঁঠাল শক্তির একটি অন্যতম ভালো উৎস। 

তাই সবশেষে একটা কথাই বলবো, নাস্তা হিসেবে বা অন্য খাবারের বিকল্প হিসেবে আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলেই কাঁঠাল খেতে পারেন। এতে করে আপনি পাবেন একটি সুন্দর সুস্থ্য ও স্বাস্থ্যবান শরীর।

RelatedPosts

ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় জানতে চান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। কারণ ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় আমরা সবাই জানতে চাই। কারণ শরীরের ওজন বাড়াতে... Continue

 এলার্জির চিকিৎসা

এলার্জি দূর করার উপায় | ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা

এলার্জি দূর করার উপায় বলতে আমরা শুধু ঔষধ সেবনই বুঝে থাকি। কিন্তু ঠান্ডা এলার্জির চিকিৎসা ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এবং ঘরোয়া উপায়ে, দুইভাবেই করা সম্ভব। ঠান্ডা এলার্জি অন্যান্য রোগের... Continue

তরমুজের উপকারিতা

তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

স্বাদ আর সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতম সেরা হিসেবে পরিচিত ফল তরমুজ, তেমনি বলে শেষ করার নয় তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ। আবার এটি দেখলেই মানুষের জিভে জল এসে যায়।... Continue

জাম্বুরার উপকারিতা

জাম্বুরার উপকারিতা ও অবিশ্বাস্য গুনাগুণ

টক মিষ্টি স্বাদ আর অসাধারণ গন্ধে ভরপুর ফল জাম্বুরার উপকারিতা অকল্পনীয়। যা আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে বাতাবি লেবু নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি ফল, যেটি খেতে ছোট-বড় সবাই ভালবাসে।... Continue

আমের উপকারিতা

জেনে নিন আমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ফলের রাজা আম। আমের উপকারিতা অতুলনীয়। খেতে যেমন রসালো তেমন দেখতেও লোভনীয়। এর স্বাদ আর গন্ধের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার মত কিছুই নেই। অত্যন্ত সুন্দর সুস্বাদু... Continue

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

কমলা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। লেবুজাতীয় একপ্রকার সুস্বাদু রসালো ফল হলো কমলা। আমাদের দেশে যার বারোমাসই দেখা মেলে। স্বাদ আর সুগন্ধযুক্ত সুন্দর আকর্ষণীয় এই ফলটি বিদেশি... Continue