Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math-pro domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ এর কাজ কী, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সম্পূর্ণ তথ্য | DoctLab

নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ

ফ্যামোটিডিন

নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ এর কাজ

নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট একটি H2 রিসেপ্টর বিরোধী। ফ্যামোটিডিন হিস্টামিন (H2) রিসেপ্টরকে ব্লক করে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ কমিয়ে দেয় এবং পেটের আলসার নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি ১২ ঘন্টা প্রশাসনের পর দুই ঘন্টার মধ্যে উদ্দীপিত অ্যাসিড আউটপুট দমন করে। H2 রিসেপ্টরের জন্য ফ্যামোটিডিন, রেনিটিডিন বা সিমেটিডিন এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ফ্যামোটিডিনের কোনও অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেনিক কার্যকলাপ নেই এবং হেপাটিক সাইটোক্রোম P450 কার্যকলাপের উপর কোনও কাজ নেই।

Ask Question

 

নির্দেশনা

যে সব রোগের চিকিৎসার নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ নির্দেশিতঃ 

Honey Sponsored
  • ডিওডেনাল এবং বিনাইন (Benign) গ্যাস্ট্রিক আলসার।
  • হাইপার-সিক্রেটরি অবস্থায়, যেমন- জোলিঙ্গার এলিসন সিনড্রোম। 
  • গ্যাস্ট্রো-ইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ। 
  • গ্যাস্ট্রো- ইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স রোগ সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ, ক্ষয় অথবা আলসার জাতীয় উপসর্গের পুনরায় সংঘটন রোধে। 

>>>আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম | Chia Seed In Bengali

 

নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ এর দাম 

প্রতিটি নাসিড ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২.০৫ টাকা এবং ১০০ টি ট্যাবলেটের প্যাকেটের মূল্য ২০৫ টাকা।

 

নাসিড ২০ মিঃ গ্রাঃ এর ব্যবহার

  • ডিওডেনাল আলসারঃ নাসিড (ফ্যামোটিডিন)- এর মাত্রা প্রতিদিন ৪০ মিলিগ্রাম, রাতের বেলা। চিকিৎসা ৪-৮ সপ্তাহ অব্যাহত রাখা উচিত, তবে এন্ডোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে আলসার নিরাময় হয়েছে এমনটি পাওয়া গেলে, চিকিৎসা বন্ধ করা যেতে পারে। যাদের আলাসার চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি নিরাময় হয়নি, তাদের চিকিৎসা আরও চার সপ্তাহ অব্যাহত রাখেতে হবে।আবার আলসার হওয়ার সম্ভবনা থাকলে, প্রতিদিন রাতে ২০ মিলিগ্রাম ডোজ দিয়ে ফ্যামোটিডিন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

>>>আরো পড়ুনঃ কোন পিল সবচেয়ে ভালো? জন্মবিরতিকরণ পিল।

  • নন-ম্যালিগন্যান্ট গ্যাস্ট্রিক আলসারঃ প্রতিদিন নাসিড (ফ্যামোটিডিন)- এর মাত্রা ৪০ মিলিগ্রাম, ঘুমানোর সময়। চিকিৎসা ৪-৮ সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে, তবে এন্ডোস্কোপিক পরীক্ষা যদি দেখা যায় যে আলসার নিরাময় হয়েছে তবে চিকিৎসা বন্ধ করা যেতে পারে।
  • জোলিঙ্গার এলিসন সিনড্রোম এর ক্ষেত্রেঃ পূর্বে রোগী এসিড ক্ষরণ হ্রাসের জন্য ঔষধ গ্রহণ না করে থাকলে, প্রতি ৬ ঘন্টা পরপর ২০ মিলিগ্রাম ফ্যামোটিডিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। পৃথক রোগীর প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে, ঔষধের মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সাধারনত দৈনিক সর্বোচ্চ ৮০০ মিলিগ্রাম মাত্রা পর্যন্ত কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয় না। কোন রোগী যদি আগে কোন H2 Blocking agent গ্রহণ করে থাকে, তবে রোগীর প্রতিক্রিয়া ও আগের ঔষধের মাত্রার উপর নির্ভর করে, ফ্যামোটিডিনের মাত্রা বাড়বে।
  • রিফ্লাক্স ইসোফ্যাজাইটিস বা গ্যাস্ট্রো ইসোফ্যাজিয়ান রিফ্লাক্স ডিজিজ এর ক্ষেত্রেঃ রিফ্লাক্স ইসোফ্যাজাইটিসের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঔষধের মাত্রা দৈনিক দুবার ২০ মিলিগ্রাম ফ্যামোটিডিন। রিফ্লাক্স ইসোফ্যাজাইটিসের সাথে ক্ষয় বা আলসার চিকিৎসার জন্য ঔষধের মাত্রা প্রতিদিন দুবার ৪০ মিলিগ্রাম ফ্যামোটিডিন হয়। চিকিৎসার সময়কাল ৬-৮ সপ্তাহ।
  • বিশেষ ক্ষেত্রে রেনাল প্রতিবন্ধকতাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেঃ ফ্যামোটিডিন প্রাথমিকভাবে কিডনির মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। রেনাল প্রতিবন্ধকতাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ১০ মিলি/মিনিটের চেয়ে কম, ফ্যামোটিভিনের দৈনিক ডোজ ৫০% হ্রাস করা উচিত। রেনাল প্রতিবন্ধকতাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে, ঔষধের মাত্রা ৫০% কমানো উচিত। ডায়ালাইসিসের শেষে ফ্যামোটিডিন ট্যাবলেট প্রদান করা উচিত কেননা ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে অনেক সক্রিয় উপাদান অপসারিত হয়।

বয়স্ক রোগীঃ প্রবীন রোগীদের ক্ষেত্রে ঔষধের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।

শিশু-কিশোরঃ 

গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজঃ

  • ৩ মাসের কমঃ ০.৫ মিলিগ্রাম/কেজি প্রতিদিন একবার ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  • ৩ মাস থেকে ১ বছরের কমঃ ০.৫ মিলিগ্রাম/কেজি মৌখিকভাবে দিনে ২ বার ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  • ১ বছর থেকে ১৬ বছরঃ ১ মিগ্রা/কেজি/দিন মৌখিকভাবে দিনে ২ বার।

সর্বাধিক ডোজঃ ৪০ মিলিগ্রাম / ডোজ পর্যন্ত।

ডিসপেপসিয়াঃ দিনে একবার মুখে মুখে ০.৫ মিলিগ্রাম/কেজি।

পেপটিক আলসারঃ দিনে একবার মুখে মুখে ০.৫ মিলিগ্রাম/কেজি বা দিনে দুবার ৪০ মিলিগ্রাম/দিন। খাবার নির্বিশেষে ডোজ পরিচালনা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অ্যান্টাসিড একযোগে দেওয়া যেতে পারে।

 

প্রতিনির্দেশনা

যে সকল ক্ষেত্রে ঔষধটি প্রতিনিদর্শিত- 

  • ফ্যামোটিডিন বা এর অন্য কোনও উপাদানের প্রতি অতি-সংবেদনশীলতা থাকলে।
  • অন্যান্য H2 রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট জাতীয় ঔষধের প্রতি কোন রোগীর অতিসংবেদনশীলতা থাকলে।

 

সতর্কতা

রোগের অবস্থা বুঝে ঔষধ কমানো যেতে পারে। তবে নিম্নোক্ত রোগের ক্ষেত্রে, ঔষধটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

  • রেনাল প্রতিবন্ধকতা 
  • ম্যালিগনেন্সি। 

 

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

 নাসিড এর অন্যান্য ঔষধের সাথে তেমন কোনো মিথস্ক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে এটি কেটোকোনাজোল এবং ইট্রাকোনাজোলের সিরাম ঘনত্ব কমাতে পারে। নাসিড সেবন করা অবস্থায় ক্যাফেইন অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নাসিড সেবনের ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।  তবে ক্লিনিক্যালি এগুলো স্বাভাবিক এবং  সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমনঃ 

  • মাথা ব্যথা, 
  • মাথা ঘোরা
  • মাথা ঝিম ঝিম করা,
  • পরিপাকতন্ত্রের ব্যাধি,
  • কোষ্ঠকাঠিন্য, 
  • পাতলা পায়খানা,
  • ডায়রিয়া ,
  • মুখশুকিয়ে যাওয়া, 
  • বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া,  
  • পেটে অস্বস্তিবােধ,
  • ক্ষুধাহীনতা, অবসাদ, 
  • ফুসকুড়ি।

 

গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে 

গর্ভাবস্থাঃ যেহেতু গর্ভবর্তী মহিলাদের মধ্যে ফ্যামোটিডিন ব্যবহারের সীমিত তথ্য রয়েছে তাই গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে জরুরী অবস্থয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন। 

স্তন্যদানঃ স্তন্যদানকালে ফ্যামোটিডিন ব্যবহার উচিত নয়।

 

ওভারডোজ

ফ্যামোটিডিন এর ওভারডোজ থেকে গুরুতর প্রভাবের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি তবে এটি জ্বর, অ্যাথেনিয়া এবং ক্লান্তি দেখাতে পারে।

 

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে এবং ৩০° সেন্টিগ্রেডের নিচে শুকনো জায়গায় রাখুন। ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।