আইপেক-সুপার
ফার্মাকোলজি
আইপেক-সুপার আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও জিংকের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলে আয়রন পলিমলটোজ কমপ্লেক্স রূপে আয়রন উপস্থিত থাকে যা কিনা একটি উৎকৃষ্ট আয়রনের প্রস্তুতি। আয়রন হাইড্রোক্সাইড পলিমলটোজ কমপ্লেক্স পলি নিউক্লিয়ার আয়রন হাইড্রোক্সাইড এবং পলিমলটোজ এর আংশিক হাইড্রোক্সাইডে করা পানিতে দ্রবনীয় ম্যাক্রোমলিকুলার কমপ্লেক্স। নন আয়নিক হওয়ার কারনে ইহা প্রচলিত আয়রন ওষুধ সমূহের চেয়ে অধিক সহনীয়। ফলিক এসিড গর্ভজাত শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, জিংক এনজাইমের কাজে ও আমিষের শোষণে সাহায্য করে, টিস্যু গঠনে এবং খাদ্যদ্রব্য ভেঙ্গে শক্তি নিঃসরণে ভিটামিন প্রয়োজনীয়।
আইপেক-সুপার ক্যাপসুল এর কাজ
আইপেক-সুপার আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স এবং জিংক এর অভাবজনিত রোগের চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে নির্দেশিত।
আইপেক-সুপার ক্যাপসুল এর দাম
আইপেক-সুপার প্রতিটি ক্যাপসুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬.০০ টাকা এবং ৩০ টি ট্যাবলেটের প্যাকেটের মূল্য ১৮০.০০ টাকা।
আইপেক-সুপার খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন ১টি করে ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। তবে জটিল অবস্থায় দুইটি ক্যাপসুল প্রয়োজন হতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন’
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
যেহেতু এই ক্যাপসুলে আয়রন কমপ্লেক্স রূপে যুক্ত থাকে, তাই খাদ্য উপাদান (ফাইটেটস, অক্সালেটস, টেনিন ইত্যাদি) বা অন্য কোন ওষুখ (টেট্রাসাইক্লিন এন্টাসিড) এর সাথে কোন বিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই।
আইপেক-সুপার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আয়রণ পলিম্যালটোজ কমপ্লেক্স + ফলিক এসিড + জিংক + ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সাধারণত সুসহনীয়। তবে খুব কম এ্যালার্জি ক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে
যদি সম্ভব হয় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোনো প্রকার ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত। সঠিক ভাবে আয়রনের ঘাটতি নিশ্চিত হলেই কেবল মাত্র প্রথম তিন মাসে আয়রন গ্রহন করা যেতে পারে। তবে আইপেক-সুপার ক্যাপসুল গর্ভাবস্থায় ও স্তন্য দান কালে অনুমোদিত।
মাত্রাধিক্যতা ও সতর্কতা
অতিরিক্ত মাত্রায় কোনরূপ আয়রনজনিত বিষক্রিয়া প্রদর্শিত হয় না।
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° সেঃ তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষন করুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।