WordPress database error: [Table 'doctlab.haspro_rank_math_redirections_cache' doesn't exist]
SELECT * FROM haspro_rank_math_redirections_cache WHERE ( object_id = 1079 and object_type = 'term' ) OR BINARY from_url = 'herbal-generic-bn/vitamin-e-alpha-tocopherol-acetate' ORDER BY object_id DESC

WordPress database error: [Table 'doctlab.haspro_rank_math_redirections' doesn't exist]
SELECT * FROM haspro_rank_math_redirections WHERE status = 'active' AND ( sources like '%a:2:{s:7:\"pattern\";s:52:\"herbal-generic-bn/vitamin-e-alpha-tocopherol-acetate\";s:10:\"comparison\";s:5:\"exact\";}%' or sources like '%herbal%' or sources like '%generic%' or sources like '%bn%' or sources like '%vitamin%' or sources like '%e%' or sources like '%alpha%' or sources like '%tocopherol%' or sources like '%acetate%' ) ORDER BY updated DESC

WordPress database error: [Table 'doctlab.haspro_rank_math_redirections' doesn't exist]
SELECT * FROM haspro_rank_math_redirections WHERE status = 'active' ORDER BY updated DESC

ভিটামিন ই [আলফা টোকোফেরল এসিটেট] | DoctLab

ভিটামিন ই [আলফা টোকোফেরল এসিটেট]

ওভিট-ই ৪০০ এর  কার্যকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটিএসিড (যা কোষঝিল্লির উপাদান) এবং অন্যান্য অক্সিজেন সংবেদনশীল উপাদান যেমনঃ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ই এর অভাবজনিত কারণে অপরিণত নবজাতকের ইডিমা, শরীর জ্বালা, থ্রম্বসিস ও হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া হতে পারে। হ্যাঁ, যেসব শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সিরাম টোকোফেরলের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়াটিনিউরিয়া, সিরোইড ডিপোজিশন, মাংসপেশীর দুর্বলতা, লোহিত কণিকার জীবনকালের হ্রাস অথবা পরীক্ষাগারে জারকের প্রভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হিমোলাইসিস এর ক্ষেত্রেও নির্দেশিত।  

ভিটামিন ই এর ব্যবহার

ভিটামিন ই মানবদেহে বহুবিধ কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাছাড়াও যে সকল রোগের ক্ষেত্রে নির্দেশিত হয়- খাদ্যে সম্পূরক হিসেবেঃ
  • অন্ত্র হতে ভিটামিন ই অপর্যাপ্ত শোষণের কারণে, দেহে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণে
  • খাবারের সহিত পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড অধিক পরিমানে গ্রহণ করার জন্য অধিক ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা পূরণে
  • ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বর্ধনে
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে
  • ভিটামিন ই এর অভাবজনিত হিমোলাইটিক এ্যানিমিয়ার চিকিৎসায়
  • পুরুষের বীর্যে স্পার্মের সংখ্যা কমে গেলে নির্দেশিত হয়। 
  • যেসকল পুরুষরা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় চিকিৎসকরা ই ক্যাপ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 
তাছাড়া একটি ভিটামিন হিসেবে শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে সহায়তা করে।  থেরাপিউটিক ব্যবহারঃ
  • কার্ডিওভাসকুলার রোগে
  • বিষাক্ত ধাতু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়ায়
  • হেপাটোটক্সিন বিষাক্ততায়
  • হিমোলাইটিক এ্যানিমিয়ায়
  • অক্সিজেন থেরাপি
  • খাদ্য ঘাটতিজনিত অপুষ্টি প্রতিরোধে।
 

ভিটামিন ই খাওয়ার নিয়ম

চিকিৎসকরা সাধারনত পূর্ণ বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ আই ইউ মাত্রায় ভিটামিন ই সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন । রোগ এবং বয়স ভেদে সেবনবিধি নিচে দেওয়া হল। 
  • ত্বক ও চুলের সমস্যায় ২০০-৪০০ আই ইউ প্রতিদিন (সৌন্দর্য বর্ধনে বাহিক ব্যবহার ও অনুমোদিত)
  • হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় ৪০০-৮০০ আই ইউ প্রতিদিন।
  • পূর্ণবয়স্কদের ভিটামিন-ই এর ঘাটতি জনিত রোগে ২০০-৪০০ আই ইউ প্রতিদিন।
  • শিশুদের ভিটামিন-ই এর ঘাটতি জনিত রোগে ২০০ আই ইউ প্রতিদিন।
  • বয়স্কদের ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ২০০ আই ইউ প্রতিদিন।
  • থ্যালাসেমিয়ায় ৮০০ আই ইউ প্রতিদিন।
  • সিক্ল–সেল অ্যানিমিয়ায় ৪০০ আই ইউ প্রতিদিন।
 

ভিটামিন ই চুলে ব্যবহারের নিয়ম

ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বর্ধনে ভিটামিন ই অত্যন্ত কার্যকরী। চুল উঠে যাওয়া বা পাতলা হয়ে যাওয়া জনিত সমস্যায় ভিটামিন ই নির্দেশিত হয়। তবে চিকিৎসকরা সাধারণত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল মাথার চুলে ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  মাথায় ব্যবহৃত তেলের সাথে ভিটামিন ই এর লিকুইড মিশিয়ে ভালোভাবে সম্পূর্ণ চুলে মেখে নিতে হবে। এবার এই অবস্থায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিয়ে অতঃপর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।  *ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। কোন জিজ্ঞাসা থাকলে নিচে মন্তব্য করুন।  

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

একই সাথে যদি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ ও কে সেবন করা হয় তাহলে ভিটামিন এ এবং কে এর বিশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং ওয়ারফেরিন এর কার্যক্ষমতা কে ত্বরান্বিত করতে পারে।   

ভিটামিন ই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

১ গ্রাম অপেক্ষা বেশি সেবনের ফলে ভিটামিন ই এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমনঃ
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • ক্লান্তি বোধ
  • ডায়রিয়া
  • মায়োপ্যাথি
  • পেপটিক আলসার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা
  • অতিরিক্ত চর্বি
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ দীর্ঘদিন সেবনের জন্য যৌন চাহিদা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে সেবন করলে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।  

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণ মাত্রায় সেবন করলে বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে সকল ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সেবন অনুমোদিত নয়।   

সতর্কতা

অন্যান্য ভিটামিন এর সাথে সেবন করলে এর প্রভাবগত কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তাই সেবনের পূর্বে আপনার ব্যবহৃত অন্যান্য ঔষধ এবং ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  ভিটামিন ই কিছু কিছু রোগীদের মধ্যে (যারা এন্ড্রোজেন গ্রহণ করে তাদের) থ্রম্বোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ই সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।  

প্রতিনির্দেশনা

সেবনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রতি নির্দেশনা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।   

সংরক্ষণ

শুকনো জায়গায় ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কম তাপমাত্রায় সংরক্ষন করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে নিরাপদে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।