ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল

ফার্মাকোলজি

ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল রক্তরস, লোহিত রক্তকনিকা এবং প্লাটেলেট, লিপিডের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড কম্পোজিশন উন্নত করে এবং টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিক রোগী সহ অন্যান্যদের আলফা-টোকোফেরদের পরিমাণও বাড়ায়। পাশাপাশি এটি মায়ের বুকের দুধের চর্বি এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বাড়ায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে যাদের ডাইহোমা গামা পিনোলেনিক এসিডের পরিমাণ কম তাদের  সিরাম লেভেল এবং অ্যাডিপোজ টিস্যুর ফ্যাটি এসিড কম্পোজিশন উন্নত করে। কোষের স্বাভাবিক আকৃতি রক্ষায় সাহায্য করে এবং প্রোস্টাগ্লান্ডিন প্রিকারসর হিসাবে কাজ করে।  

ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল এর কাজ

ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল এর মূল কার্যকারীতার কারণ গামা লিনোলেনিক এসিড। এই গামা লিনোলেনিক এসিড লিনোলিক এসিডের বিপাকে অংশ গ্রহণ করে থাকে। ইভিনিং প্রিমএপ্রিম অয়েল গ্রহণের পর গামা লিনোলেনিক এসিড (ডি.এন.এ) খুব দ্রুত শোষিত হয় এবং সরাসরি ডাইহোমা গামা লিনোলেনিক এসিড (ডি.জি. প্রোস্টাগ্ল্যাভিন প্রিকারসারে রূপান্তরিত হয়। এটি ফোস্টনয়েড পাথওয়েতেও কাজ করে। নিচের লক্ষণ গুলি দেখা দিলে ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল সেবন করতে পারেনঃ
  • মাসিক সংক্রান্ত জটিলতায়
  • বিনাইন স্তনের রোগ ও স্তন বেদনা (মাসিক সংক্রান্ত)
  • মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ ও গুণগতমান বৃদ্ধিতে
  • এটপিক, এলার্জিক ও নিওরোডার্মাটাইটিস
  • সোরিয়াসিস
  • উচ্চরক্তচাপ
  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
  • থ্রম্বোসিস
  • এটপিক একজিমা
  • খাদ্য তালিকায় সহায়তাকারী
  • ত্বকের সুস্থতায়, নখের ভঙ্গুরতা কমায় ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়।
 

ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

এটপিক ও এলার্জিক ডার্মাটাইটিস-
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যঃ ১ টি ক্যাপসুল দৈনিক ২ বার।
  • শিশুদের জন্যঃ ১ টি ক্যাপসুল দৈনিক ১/২ বার।
স্তন বেদনা মাসিক সংক্রান্তঃ ১টি ক্যাপসুল দৈনিক ২/৩ বার খাবারের সা্থে অথবা খাবারের পরে। মাসিক সংক্রান্ত জটিলতায়ঃ ১টি ক্যাপসুল দৈনিক ২ বার সকালে ও রাতে খাবারের সাথে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃ দৈনিক ১ টি ক্যাপসুল। অথবা রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। * চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন'  

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস, অ্যান্টিপ্লেলেটলেট এজেন্ট, কম আণবিক ওজন হেপারিন এবং থ্রম্বোলাইটিক এজেন্টগুলির সাথে একযোগে ব্যবহার করুন।  

প্রতি-নির্দেশনা

পূর্বে যদিও মানসিক রোগীর (বিশেষ করে সিজোফ্রেনিক) ক্ষেত্রে ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে এর কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।  

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্দেশিত মাত্রায় ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল সেবনে সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার পেটের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।  

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে

যেহেতু লিনোলেনিক এসিড, জি.এল.এ এবং ডি.জি.এল.এ মাতৃদুগ্ধেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তাই ইভিনিং প্রিমএপ্রিম অয়েল স্তন্যদানকালীন সময়ে ব্যবহার উত্তম বলে বিবেচিত। তাছাড়া ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের (WHO)  মতে, গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রতিদিন ক্যালরির অন্তত ৫ ভাগ ক্যালরি এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থেকে নেয়া উচিত।  

মাত্রাধিক্যতা ও সতর্কতা

নির্ধারিত ডোজের বেশি নেবেন না। অধিক মাত্রায় ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল সেবনে আপনার উপসর্গের উন্নতি হবে না বরং অতি মাত্রায় সেবনের ফলে পেটে ব্যাথা বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।   

সংরক্ষণ

শিশুদের নাগলের বাইরে রাখুন। সরাসরি আলো থেকে দূরে রাখুন । অনূর্ধ্ব ২৫° সেঃ তাপমাত্রায় শুকনো জায়গায় ঔষধটি সংরক্ষণ করুন।