১৫টি ভিটামিন এবং মিনারেল

নির্দেশনা

মনিমিক্স প্লাস (Monimix Plus) হলো একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট, যা ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সার্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত অবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করে।

মূল উপকারিতা:

  • রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  • ক্ষুধা বৃদ্ধি করে ও পুষ্টিগত সুস্থতা উন্নত করে।

  • শেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করে।

  • সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে।

উপাদান

প্রতিটি ১ গ্রাম স্যাশেতে মনিমিক্স প্লাসে নিম্নলিখিত সক্রিয় উপাদানসমূহ থাকে:

  • ভিটামিন এ (ভিটামিন এ অ্যাসিটেট) – ০.৪০ মিগ্রা

  • ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) – ৩০.০০ মিগ্রা

  • ভিটামিন ডি (কোলেক্যালসিফেরল) – ০.০০৫ মিগ্রা

  • ভিটামিন ই (আলফা-টোকোফেরল) – ৫.০০ মিগ্রা

  • ভিটামিন বি১ (থায়ামিন মনোনাইট্রেট) – ০.৫০ মিগ্রা

  • ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লাভিন) – ০.৫০ মিগ্রা

  • নিয়াসিন (নিকোটিনামাইড) – ৬.০০ মিগ্রা

  • ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড) – ০.১৫ মিগ্রা

  • ভিটামিন বি১২ (সায়ানোকোবালামিন) – ০.০০০৯ মিগ্রা

  • ফলিক অ্যাসিড – ০.১৫ মিগ্রা

  • আয়রন (ফেরাস ফিউমারেট) – ১০.০০ মিগ্রা

  • জিঙ্ক (জিঙ্ক গ্লুকোনেট) – ৪.১০ মিগ্রা

  • কপার (কিউপ্রিক গ্লুকোনেট) – ০.৫৬ মিগ্রা

  • সেলেনিয়াম (সোডিয়াম সেলেনাইট) – ০.০১৭ মিগ্রা

  • আয়োডিন (পটাশিয়াম আয়োডাইড) – ০.০৯ মিগ্রা

ঔষধবিহীন উপাদান: মাল্টোডেক্সট্রিন এবং কলোইডাল সিলিকন ডাই-অক্সাইড।

বিবরণ

মনিমিক্স প্লাস হলো ১৫টি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাউডার, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সুপারিশ অনুযায়ী তৈরি।
এটি বিশেষভাবে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের রক্তাল্পতা ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এসএমসি (SMC) ২০২১ সালের এপ্রিলে মনিমিক্স প্লাসকে একটি জনস্বাস্থ্য পণ্য হিসেবে বাজারে আনে, যাতে বাংলাদেশে অপুষ্টি রোধ ও শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করা যায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

  • একটি শিশু প্রতিদিন ১টি স্যাশে গ্রহণ করবে টানা ৩ মাস পর্যন্ত।

  • এরপর ৩ মাস বিরতি দিতে হবে।

  • বছরে মোট ১৮০টি স্যাশে গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিয়মিত মনিমিক্স প্লাস সেবন শিশুদের পুষ্টিগত অবস্থা উন্নত করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং সার্বিক বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখে।