টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ
ফার্মাকোলজি
টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট ফসফোলিপিড এবং প্রোটিনের সাথে ক্যালসিয়াম এর বন্ধনকে শক্তিশালী করে এবং জিআই ট্র্যাক্টের কোষের ঝিল্লিকে স্থিতিশীল করে। এটি চতুর্মুখী অ্যামোনিয়াম অ্যান্টিমাসকারিনিক যার পেরিফেরাল প্রভাব অ্যাট্রোপিনের মতোই।
টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট এর কাজ
টিএমএস ট্যাবলেট মানবদেহে মাংসপেশির খিচুনি রোধে কাজ করে। তাছাড়া মেয়েদের পিরিয়ড জনিত ব্যথায় টিএমএস খুবই বেশি কার্যকর। এছাড়া ও গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত পেট ব্যথার জন্যও টিএমএস খওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। টিএমএস নির্দেশিত হয়ঃ
- পিরিয়ড জনিত ব্যথা
- কোমরের ব্যথা
- অস্টিওআর্থারাইটিস
- গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত পেট ব্যথা
- মাথা ব্যাথা
- কানের ব্যথা
তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ এর দাম
টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৪.৩২ টাকা এবং ৫০ টি ট্যাবলেটের প্যাকেট এর দাম ২১৫.৯০ টাকা।
টিএমএস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট ব্যবহারের মাত্রা নির্ভর করে রোগীর বয়স এবং ওজনের উপর।
- প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রেঃ প্রতিদিন ২ থেকে ৬ টা ৫০ এমজি ট্যাবলেট । তবে যদি সিরাপ এর ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৯ চামচ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগী সেবন করতে পারবে।
- শিশু রোগীর জন্যঃ দৈনিক ৩ মিঃ লিঃ/কেজি অথবা ৬ মিঃ গ্রাঃ/কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে বিভক্ত মাত্রায় নির্দেশিত। শিশুদের ক্ষেত্রে টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। নিজের ইচ্ছামত কখনোই কোন ঔষধ সেবন করা যাবে না।
- ট্যাবলেটঃ দৈনিক ২-৬ ট্যাবলেট (১০০-৩০০ মিঃ গ্রাঃ)।
- ইনজেকশনঃ ১ টিমোনিয়াম মিথাইলসালফেট ইনজেকশন প্রতিদিন ৩ বার, শিরাপথে ধীরে ধীরে বা ইন্ট্রামাসকুলার রুটে।
- সিরাপঃ
- শিশুঃ প্রতিদিন ৩ মিলিগ্রাম – ৬ মিলিগ্রাম/কেজি শরীরের ওজন বা ১.৫ মিলি – ৩ মিলি/কেজি শরীরের ওজন ৩টি বিভক্ত ডোজে।
- প্রাপ্তবয়স্কঃ ৩০ মিলিগ্রাম – ৯০ মিলিগ্রাম বা ১৫ মিলি – ৪৫ মিলি প্রতিদিন ৩ বার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
ঔষদের মিথষ্ক্রিয়া
টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট এর মিথষ্ক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য ওষুধের সাথে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
টিএমএস ৫০ মিঃ গ্রাঃ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
টিএমএস ট্যাবলেট এর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে হাইপোটেনশন হতে পারে। এটি হলে অবশ্যই মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট গ্রহণের কারণে
- গিলতে অসুবিধা সহ শুষ্ক মুখ এবং তৃষ্ণা
- বাসস্থান এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস
- ইন্ট্রাওকুলার চাপ বৃদ্ধি
- ফ্লাশিং
- শুষ্ক ত্বক
- ব্র্যাডিকার্ডিয়া
- টাকাইকার্ডিয়া
- ধড়ফড়ানি
- অ্যারিথিমিয়াস
- এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে
- টিএমএস গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন প্রাণীর ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে।
- দেখা গেছে টিএমএস ভ্রূণের কোনো ক্ষতি করে না। তবে মানবদেহে এর পরিপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যার ফলে এটি ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।
- তাছাড়া গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে টিএমএস ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা ও সতর্কতা
টিএমএস সাধারনত মানুষের শরীরে তেমন কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তবে শরীরের তাপমাত্রা অধিক থাকলে এবং যকৃত এবং পরিপাকতন্ত্রে দুর্বলতা থাকলে এই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রাতের বেলায় গাড়ি চালানোর মত সেনসিটিভ কাজ করে থাকেন তারা এই ওষুধ গ্রহণের সতর্ক থাকবেন। অতিরিক্ত গ্রহণ মৃত্যুঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সংরক্ষণ
আলো ও আদ্রর্তা থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় রাখুন। এছাড়াও সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।