ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ
ফার্মাকোলজি
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট হল পেরিফেরাল H₁-রিসেপ্টর এর কার্যকারিতা বিরোধী এন্টিহিস্টামাইন। মুখে সেবনের ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে এটি সর্বোচ্চ প্লজমা ঘনত্বে পৌঁছায়। রিপোর্টে দেখা গেছে যে এটি ব্লাড ব্রেইন ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না। ফেক্সোফেনাডাইন হাইড্রোক্লোরাইড এর মোট ডোজের ৫% মেটবোলাইসড হয় যার বেশির ভাগই সম্পন্ন হয় অন্ত্রের শ্লেষ্মা দ্বারা, মাত্র ০.৫ থেকে ১.৫% ডোজ সাইটোক্রোম P৪৫০ সিস্টেম দ্বারা হেপাটিক বায়োট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যায়। এর রেচন প্রধানত মলের মাধ্যমে হয় যার মাত্র ১০% প্রস্রাবে উপস্থিত থাকে।
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট এর কাজ
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ প্রাপ্তবয়স্ক ও বাচ্চাদের সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এবং ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক ইউর্টিকিয়ার নিরাময়ে নির্দেশিত হয়। নিচের লক্ষণ গুলি দেখা দিলে ফেনাক্সো সেবন করতে পারেনঃ
- গলা ব্যাথা
- চোখের চুলকানি
- অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এবং ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক ইউর্টিকারিয়া
- অতিরিক্ত হাঁচি
- সর্দিজনিত এলার্জি
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ এর দাম
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ প্রতিটি ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭.০২ টাকা এবং ৩০ টি ট্যাবলেটের প্যাকেটের মূল্য ২১০.৬০ টাকা।
ফেনাক্সো খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফেক্সোফেনাডাইন হাইড্রোক্লোরাইড এর নির্ধারিত মাত্রা হলো ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দুইবারে কিংবা ১৮০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার। প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চাদের জন্য মাত্রা ও ব্যবহার বিধি বিস্তারিত দেওয়া হল।
সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস
১২ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশিঃ
- ট্যাবলেটঃ ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দুইবার অথবা ১২০ মিলিগ্রাম কিংবা ১৮০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
৬ থেকে ১১ বছরঃ
- ট্যাবলেটঃ ৩০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দুইবার কিংবা ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৩০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার
২ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ
- সাসপেনশনঃ ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫ মিলি লিটার প্রতিদিন দুইবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৩০ মিলিগ্রাম কিংবা ৫ মিলি লিটার প্রতিদিন একবার।
ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিক্যারিয়া
১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়স্কদের জন্যঃ
- ট্যাবলেটঃ ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দুইবার অথবা ১২০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার কিংবা ১৮০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
ছয় থেকে ১১ বছরঃ
- ট্যাবলেটঃ ৩০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন দুইবার অথবা ৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৩০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার।
৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ
- সাসপেনশনঃ ১৫ মিলিগ্রাম কিংবা ২.৫ মিলিলিটার প্রতিদিন দুইবার।
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ১৫ মিলিগ্রাম কিংবা ২.৫ মিলিলিটার প্রতিদিন একবার
২ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ
- সাসপেনশনঃ ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫ মিলি লিটার প্রতিদিন দুইবার
- বৃক্কের কার্যকারিতা কমে গেলেঃ ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫ মিলি লিটার প্রতিদিন একবার
ঔষদের মিথষ্ক্রিয়া
ইরাইথ্রোমাইসিন বা কিটোকোনাজলের সাথে ব্যবহারের ফলে ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড প্লাজমা ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা ম্যাগনিসিয়াম হাইড্রোক্সাইড আছে এমন সব এন্টাসিডের সাথে সেবনের ফলে ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইডের পরিশোষণ কার্যক্ষমতা কমে যায়
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ সেবনের ফলে নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তবে দেখা গেলেও তা মৃদু ও ক্ষনস্থায়ী। যেসকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারেঃ
- মাথা ব্যথা
- ক্লান্তিবোধ
- ঘুমঘুম ভাব
- বমি-বমি ভাব
- অস্বাভাবিক ঘুম
- পিঠে ব্যাথা
- মাথা ঘোরা
- হাঁচি
- গলা ব্যথা
- পেট খারাপ
- পেশী ব্যথা
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং
- পরিপাকতন্ত্রীয় সমস্যা।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে
প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরী (US FDA ) অনুয়ায়ী ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড C শ্রেণীভূক্ত ঔষধ। সুতরাং, প্রত্যাশিত সুবিধা এর ঝুঁকির চেয়ে বেশী না হলে গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহারে থেকে বিরত থাকা উচিত।
মাত্রাধিক্যতা
তীব্র ওভারডোজের পর ক্ষণস্থায়ী কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভুলেও নির্ধারিত ডোজের বেশি গ্রহণ করবেন না। বেশি ঔষধ সেবন করলে আপনার উপসর্গের উন্নতি হবে না। যদিও ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইডের তীব্র ওভারডোজের কোনও রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
সতর্কতা
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, ফেক্সোফেনাডিনে অ্যালার্জি আছে, কিডনিতে সমস্যা আছে, ডায়াবেটিস রোগী, গর্ভবতী মহিলা এবং যেসব মায়েরা এখনো বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান, যাদের হৃদরোগ আছে, বয়স্ক রোগী এবং বৃক্কীয় কার্যকারিতা হ্রাসপ্রাপ্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ফেনাক্সো ১২০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বণ করতে হবে।
সংরক্ষণ
আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।