অ্যাঞ্জিমেট এমআর ৩৫ মিঃ গ্রাঃ
উপাদান
প্রতিটি মডিফাইড রিলিজ অ্যাঞ্জিমেট ট্যাবলেটে আছে ট্রাইমেটাজিডিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৩৫ মিঃ গ্রাঃ।
ফার্মাকোলজি
অ্যাঞ্জিমেট ট্যাবলেট (ট্রাইমেটাজিডিন হাইড্রোক্লোরাইড) দিনে দুইবার সেবনযোগ্য। প্রথম ৩-কিটো এসাইল কো-এ থাইওলেজ ইনহিবিটর যা মেটাবলিক এন্টিইসকেমিক ওষুধ হিসেবে সকল করোনারী রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ট্রাইমেটাজিডিন ৩-কিটো এসাইল থায়োলেজ এনজাইমকে বাধা দেয়ার মাধ্যমে অক্সিজেনকে ফ্যাটিএসিড হতে গ্লুকোজ মেটাবলিজে ট্রান্সফার করে। ফলে সম পরিমাণ অক্সিজেন বায়ফ্যাটিএসিড অপেক্ষা গ্লুকোজ হতে বেশী পরিমাণে শক্তি তৈরী হয় এবং হার্টকে বেশী কার্যকর রাখে। অধিকন্তু গ্লুকোজের এরোবিক এক্সিডেশনের মাধ্যমে ল্যাকটিক এসিড কম তৈরী হয়। যার ফলে ইহা এনজিনা পেকটোরিসকে প্রতিরোধ করে।
অ্যাঞ্জিমেট এমআর ৩৫ মিঃ গ্রাঃ এর কাজ
অ্যাঞ্জিমেট ট্যাবলেট ইসকেমিক হার্ট ডিজিজের মেটাবলিক চিকিৎসায় নির্দেশিত। ইহা সকল ধরনের এনজিনা পেকটোরিস এবং পোস্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন চিকিৎসায় নির্দেশিত। এটি বাইপাস সার্জারীতে ভাল কাজ করে।
অ্যাঞ্জিমেট ট্যাবলেটের এর দাম
প্রতিটি অ্যাঞ্জিমেট এমআর ৩৫ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬ টাকা এবং ৩০ টি ট্যাবলেটের প্যাকেটের মূল্য ১৮০ টাকা।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ট্রাইমেটাজিডিন হাইড্রোক্লোরাইড প্রতিদিন ৩৫ মিঃ গ্রাঃ দিনে দুইবার অথবা ২০ মিঃ গ্রাঃ দিনে তিন বার খাবার খাওয়ার সময় সেবন করতে হয়। তিনমাস সেবনের পর চিকিৎসকের কাছে পুনরায় যাওয়া উচিৎ।
প্রতিনির্দেশনা
ট্রাইমেটাজিডিন হাইড্রোক্লোরাইড বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে এটি সেবন করা উচিৎ নয়।
অ্যাঞ্জিমেট এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
অ্যাঞ্জিমেট একটি নিরাপদ ও অত্যন্ত সহনশীল ঔষধ। তবে তাৎক্ষনিক কিছু সমস্যা হতে পারে। যথাঃ
- কদাচিৎ পাকান্ত্রিক সমস্যা,
- বমিবমিভাব ও
- বমি হতে পারে।
ঔষধের মিথস্ক্রিয়া
অ্যাঞ্জিমেট এর কোন ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া নেই। বিশেষ করে বিটা-ব্লকার ক্যালসিয়ামবিরোধী, নাইট্রেট, হেপারিন, হাইপোলিপিডেমিক ওষুধ বা ডিজিটালিস এর সাথে কোন মিথস্ক্রিয়া নেই।
গর্ভাবস্থায় ও মাতৃদুগ্ধদানকালে ব্যবহার
ভ্রুণের কোন ক্ষতি না করলেও ক্লিনিক্যাল তথ্যের অভাবে ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে গর্ভকালীন ব্যবহার পরিহার করা উচিত। তথ্যের অভাবে স্তন্যদানকালীন এই ওষুধ ব্যাবহার অনুমোদিত নয়।
সংরক্ষণ
৩০° তাপমাত্রার নিচে, শুষ্ক স্থানে ও আলো থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।