Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rank-math-pro domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/doctlab.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ এর কাজ কী, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সম্পূর্ণ তথ্য | DoctLab

অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ

Also Available :125 mg/5 ml250mg

ফার্মাকোলজি

অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুল এক ধরনের ব্রড স্পকট্রাম পেনিসিলিন এন্টিবায়োটিক। এটি সাধারণত গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। ব্যাকটেরিয়া কোষের জৈব সংশ্লেষণ কে বাধা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার ব্যক্তি প্রতিরোধ করে থাকে। এমোক্সিসিলিন মৌখিকভাবে সেবনের ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে এর কার্যকারিতা শুরু করে যা বাহ্যিকভাবে বোঝা যায়।

Ask Question

অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুল এর কাজ

এটি শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে নির্দেশিত রোগের একটি তালিকা দেওয়া হল

  • কান, নাক ও গলার সংক্রমণ (যেমন-ওটাইটিস মিডিয়া, সাইনুসাইটিস, টনসিলাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস, ল্যারিনজাইটিস)
  • নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ (যেমন-নিউমোনিয়া, একিউট এবং ক্রনিক ব্রংকাইটিস, লাং এব্সেস, এমপায়েমা, ব্রংকিএকটাসিস)
  • ত্বক ও নরম কলার সংক্রমণ (যেমন-সেলুলাইটিস, কার্বাংক্যালস, ফুরাংকিউলোসিস, সংক্রমিত ক্ষত, এব্সেস)
  • জেনিটো-ইউরেনারি ট্রাক্ট সংক্রমণ (যেমন- পায়েলোনেফ্রাইটিস, সিস্টাইটিস এবং ইউরেথ্রাইটিস)
  • ভেনেরাল ডিজিজ (যেমন-একিউট আনকমপ্লিকেটেড গণোরিয়া)।
  • দাঁতের এব্সেস-এর ক্ষেত্রে, এটি শর্ট-টার্ম থেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • H. pylori-জনিত ডিওডেনাল আলসার বা এর ঝুঁকি কমাতে এটি ক্লারিথ্রোমাইসিন ও ল্যান্সোপ্রাজোলের সাথে (ট্রিপল থেরাপি হিসেবে) ব্যবহৃত হয়।

এমোক্সিসিলিন ট্রাইহাইড্রেট সেবনের নিয়ম

এমোক্সিসিলিন এর মাত্রা মূলত নির্ভর করে রোগীর সংক্রমণের ধরন বয়স ওজন এবং রেনাল ফাংশন এর ওপরে। এটি সেবনের নির্দেশিত মাত্রা নিচে দেওয়া হল

Honey Sponsored

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে

প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য প্রতিদিন বাড়ে ২৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত নির্দেশিত। তবে এই মাত্রা প্রয়োজনে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে

বাচ্চা (১০ বৎসর পর্যন্ত): ১২৫ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার।

  • তীব্র বা বারবার হয় এমন ধরনের শ্বাসতন্ত্রীয় সংক্রমণ (পুরুলেন্ট)-এর ক্ষেত্রে ৩ গ্রাম করে ১২ ঘন্টা পরপর।
  • মধ্যকর্ণের সংক্রমণ: প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১ গ্রাম করে দিনে ৩ বার প্রতি চার ঘন্টা পরপর এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৪০ মিঃগ্রাঃ/কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে ৩ টি বিভক্ত মাত্রায় (সর্বোচ্চ মাত্রা দৈনিক ৩ গ্রাম)।
  • নিউমোনিয়া: ৫০০-১০০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ৩ বার ।
  • ডেন্টাল এব্সেস: ৩ গ্রাম করে ১০-১২ ঘন্টা পরপর।
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ: ৩ গ্রাম করে ১০-১২ ঘন্টা পরপর।
  • গণোরিয়া: ১ গ্রাম প্রোবেনেসিড-এর সাথে ২-৩ গ্রামের এককমাত্রা (প্রোবেনেসিড ২ বৎসরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত)।
  • বৃক্কীয় বৈকল্যের ক্ষেত্রে দৈনিক মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

এমোক্সিসিলিন ট্রাইহাইডেট মুখে সেবন করা হয় ট্যাবলেট, ক্যাপসুল অথবা সাস্পেনশন হিসেবে। এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার আগে কিংবা পরে সেবন করা যেতে পারে। 

অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুল এর দাম

প্রতিটি অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুল এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬.০০ টাকা এবং ৫০ টি ক্যাপসুলের বক্সের মূল্য ৩০০.০০ টাকা।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া 

এমোক্সিসিলিন এবং প্রোবেনসিড একই সাথে সেবন করলে এমোক্সিসিলিন এর প্লাজমার ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। এটি অন্ত্রের ফ্লোরা নষ্ট করে এবং ইস্ট্রোজেন এর শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমোক্সিসিলিন মুখে সেবনে শরীরের ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন এর সাথে সম্পর্কিত সকল জন্ম বিরতি করন ঔষধ এর কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। 

প্রতিনির্দেশনা

যে সকল রোগীদের পেনিসিলিন এর প্রতি কিংবা পেনিসিলিন জাতীয় ঔষধের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের এমোক্সিসিলিন সেবন করা উচিত নয়। 

অ্যামোসিল ৫০০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুলের এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অন্যান্য সকল ঔষধের মতো এমোক্সিসিলিন ট্রাইহাইড্রেট এরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে তা খুবই সামান্য এবং সহ্য ক্ষমতার ভেতরে। এই মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে

  • পাকস্থলীর প্রদাহ জনিত সমস্যা যেমন বমি বমি ভাব কিংবা ডায়রিয়া কিংবা বমি হওয়া।
  • বুকের নিচের দিকে ব্যথা করা।
  • শরীরে এলার্জির মত ক্ষুদ্র দানা কিংবা rash দেখা দেওয়া। 

এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সাধারণত যে সকল রোগীর পেনিসিলিন জাতীয় ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের শরীরেই বেশি দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে

এমোক্সিসিলিন এর গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য ও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ইউএস এফডিএ এর প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি অনুযায়ী এটি বি ক্যাটাগরির ঔষধ। গর্ভাবস্থায় যদি এটি ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়ে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত। এছাড়াও যেহেতু এমোক্সিসিলিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় সেক্ষেত্রে স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। 

সংরক্ষণ

সকল ঔষধ আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।