এয়ারওয়ে ৪ মিঃ গ্রাঃ
ফার্মাকোলজি
এয়ারওয়ে ৪ মিঃ গ্রাঃ হল মুখে সেবনযোগ্য সিলেকটিভ লিউকোট্রাইন রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট যা প্রতিহত করে সিসটেইনাইল লিউকোট্রাইন রিসেপ্টর কে। এখানে সিসটেইনাইল লিউকোট্রাইন হলো এরাকিডোনিক এসিডের বিপাকীয় দ্রব্য যা মাস্ট সেল এবং ইয়োসিনোফিল্স সহ বিভিন্ন ধরনের লিউকোট্রাইনের সেল থেকে নির্গত হয়। সিসটেইনাইল লিউকোট্রাইনের উপাদান এবং রিসেপ্টরের সাথে বন্ধন এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ এর প্যাথোফিজিওলজির সাথে জড়িত এবং এটি কোষের কার্যকারিতা পরিবর্তন করে এর ফলে অ্যাজমার লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়।
নির্দেশনা
এয়ারওয়ে ৪ যে সকল ক্ষেত্রে নির্দেশিত হয় সেগুলো হলোঃ
- ১২ মাস বা তার বেশি বয়সী রোগীদের জন্য অ্যাজমার প্রোফিল্যাক্সিস এবং ক্রনিক চিকিৎসায়।
- ৬ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে ব্যায়ামজনিত ব্রঙ্কোকনস্ট্রিকশন (ইআইবি) প্রতিরোধে।
- অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (এআর) এর উপসর্গে: ২ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে মৌসুমি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (এসএআর), এবং ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে চিরস্থায়ী অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (পিএআর) এর চিকিৎসায়।
ঔষদের মাত্রা
রোগ অনুযায়ীঃ
- হাঁপানিঃ ১২ মাস বা তার বেশি বয়সী রোগীদের জন্য ১০ মিঃগ্রাঃ ট্যাবলেট সন্ধ্যায় প্রতিদিন একবার।
- ইআইবি প্রতিরোধেঃ ৬ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের জন্য ব্যায়ামের কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে একটি ট্যাবলেট।
- মৌসুমি এলার্জি রাইনাইটিসঃ ২ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের জন্য প্রতিদিন একবার।
- চিরস্থায়ী এলার্জি রাইনাইটিসঃ ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী রোগীদের জন্য প্রতিদিন একবার
বয়স অনুযায়ীঃ
- ১৫ বছর বা তার বেশি: একটি ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট।
- ৬ থেকে ১৪ বছর: একটি ৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট।
- ২ থেকে ৫ বছর: একটি ৪ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট।
সেবনবিধি
এয়ারওয়ে ৪ এই ওষুধটি মুখে সেবনযোগ্য। এই ওষুধটি মূলত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার এর আগে বা পরে যেকোনো সময় খাওয়া যায়।
এয়ারওয়ে ৪ এর দাম
- প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য: ৳ ৬.০০ (৩০ এর প্যাক: ৳ ১৮০.০০)
ঔষদের মিথষ্ক্রিয়া
যেকোনো ওষুধ অন্য ওষুধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া হয়ে ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে। এমন বেশকিছু কিছু ওষুধ আছে যা এয়ারওয়ে ৪ এর সাথে সেবন করলে বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এর কার্যকলাপ কমিয়ে দেয় বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বাড়ায়। এয়ারওয়ে ৪ এর সাথে বিক্রিয়া করতে পারে এমন সাধারণ ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে,
- ফেনোবারবিটল
- ফিনাইটয়িন
- রিফামপেসিন
এয়ারওয়ে ৪ এর সাথে অন্যান্য ওষুধ যেমন-থিওফাইলিন, প্রেডনিসোলন, প্রেডনিসন, টারফিনাডিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভস্, জেমফাইব্রোজিল, ইট্রাকোনাজল, ডিগক্সিন, ওয়ারফেরিন, ডিকনজেসটেন্ট, থাইরয়েড হরমোন, সিডেটিভ-হিপনোটিক, নন-স্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট, বেনজোডায়াজেপিন, এবং সাইটক্রোম P450 এনজাইম ইনডিউসার এর ক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এয়ারওয়ে ৪ এর সাধারণ অস্বাভাবিক ও বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
- সাধারণঃ মাথাব্যাথা, বমিবমি ভাব, ত্বকের বিরুপ প্রতিক্রিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি, বমি ও ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রামক।
- অস্বাভাবিক: রক্তক্ষরণ, বিরক্তিভাব, অসুস্থতাবোধ, মাংস পেশির বেদনা, ফুলেওঠা, অস্বাভাবিক অনুভূতি, খিঁচুনি, স্নায়ুবিক যন্ত্রণা, দুশ্চিন্তা, পেশীর বেদনা, দুর্বলতা, অস্বাভাবিক আচরণ, হতাশা, মাথা ঘোরা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, ঘুমের সমস্যা ও মুখ শুষ্কতা।
- বিরল: আত্মহত্যার প্রবণতা, শারীরিক কম্পন, পালমোনারি ইউওসিনোফেলিয়া, লিভারের সমস্যা, সৃত্নিলোপ, বুক ধড়ফড় করা, ইয়োসিনোফিলিক গ্রানুলোমেটোসিস্ এবং পলিঙ্গাইটিস্, ইরিথেমা নোডাসাম, হ্যালুসিনেশন, এনজিওডিমা, মনোযোগহীনতা ও ফ্যাকাশে ভাব।
এছাড়াও নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে আপনার নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। যেমন: অতিসার, গ্লানি, মাথা ব্যাথা, বদহজম, গলা ব্যাথা, পেট ব্যথা ও সর্দি বা গুমোট নাক।
তাছাড়া আপনি যদি এর বাইরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে
গর্ভবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে এয়ারওয়ে ৪ এর পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। একান্ত প্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয়। দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এয়ারওয়ে ৪ সেবনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা
তীব্র ওভারডোজের পর পেট ব্যথা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, তৃষ্ণা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং সাইকোমোটর হাইপার একটিভিটি পরিলক্ষিত হয়। মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে, প্রয়োজন হলে সাধারণ সহায়ক ব্যবস্থাসমূহ, যেমন-পরিপাকতন্ত্র থেকে অশোধিত পদার্থ অপসারণ, ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ এবং সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োগ করা উচিত।
সতর্কতা
এয়ারওয়ে ৪ ব্যবহারে হতাশা বৈরীতা, উদ্বিগ্নতা এবং নিউরো-সাইকিয়াট্রিক ঘটনাগুলোর মধ্যে উত্তেজনা, মনোযোগহীনতা, বিভ্রান্তি, দুঃস্বপ্ন, হ্যালুসিনেশন, অনিদ্রা, বিরক্তি, অস্থিরতা, স্মৃতিলোপ, স্বপ্নচারিতা, আচরণ ও আত্মঘাতী
চিন্তা এবং কম্পন পরিলক্ষিত হয়।
সংরক্ষণ
আলো ও আদ্রর্তা থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় রাখুন। এছাড়াও সকল ওষুধ শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখুন।