এইস্‌ ২৫০ মিঃ গ্রাঃ Suppository

Also Available :500 mg125 mg
Ace 250 mg

ফার্মাকোলজি

এইস্‌ ২৫০ মিঃ গ্রাঃ সাপোজিটরি সবচেয়ে নিরাপদ এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যানালজেসিক এবং অ্যান্টিপাইরেটিকগুলির মধ্যে একটি। এটি মানবদেহের হাইপোথ্যালামিক তাপ-নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে কার্যকারিতার মাধ্যমে ব্যথা এবং এন্টিপাইরেসিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অ্যানালজেসিক ক্রিয়া তৈরি করে। এর অল্প কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্যারাসিটামল মুখে এবং মলদ্বারে সেবন করা হয়। এটি কোন প্লাজমা প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ নয়।

Ask Question

 

ব্যাবহার

এইস্‌ ২৫০ মিঃ গ্রাঃ অস্টিওআর্থারাইটিস এবং পেশী ব্যথা এবং পিঠেব্যথা উপশমের জন্য কার্যকর। এছাড়া এটি জ্বর কমাতে সাহায্য করে। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, সাসপেনশন, পেডিয়াট্রিক ড্রপ এবং সাপোজিটরি আকারে পাওয়া যায়। প্যারাসিটামল নিম্নলিখিত রোগের লক্ষণগুলির জন্য নির্ধারিত হয়।

Honey Sponsored
  • জ্বর
  • মাইগ্রেন
  • মাথা ব্যাথা
  • ঠান্ডা
  • মাঝে মাঝে ব্যাথা
  • ল্যারিনক্সের প্রদাহ
  • জয়েন্টগুলোতে ব্যথা
  • কানের ব্যথা
  • দাঁতব্যথা
  • ক্লান্তি
  • আর্থ্রাইটিস ব্যথা
  • স্নায়বিক ব্যথা
  • সেরিব্রাল পলসি
  • মাসিকের ব্যথা।

 

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ট্যাবলেটঃ

  • ৫০০ মিলিগ্রাম – একটি ট্যাবলেট > প্রতি ৪-৬ ঘন্টায়।
  • ৫০০ মিলিগ্রাম – দুটি ট্যাবলেট > প্রতি ৬ ঘন্টায়।
  • ৬৬৫ মিলিগ্রাম – দুটি ট্যাবলেট > প্রতি ৬-৮ ঘন্টায়। (১২ বছরের বেশি বয়সী)।

সিরাপ এবং সাসপেনশনঃ

  • প্রাপ্তবয়স্কঃ ৪ – ৮ চা চামচ > প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।
  • শিশুঃ৩ মাস – ১ বছরঃ ১/২ থেকে ১ চা চামচ > প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।
  • ১-৫ বছরঃ ১ থেকে ২ চা চামচ > প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।
  • ৬-১২ বছরঃ ২ থেকে ৪ চা চামচ > প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।

পেডিয়াট্রিক ড্রপ:

  • ০ থেকে ৩ মাস > ০.৫ মিলি > প্রতিদিন ৪ বার।
  • ৪ থেকে ১১ মাস > ১.০ মিলি > প্রতিদিন ৪ বার।
  • ১ থেকে ২ বছর > ১.৫ মিলি > প্রতিদিন ৪ বার।

সাপোজিটরিঃ

  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৫০০-১০০০মিঃ গ্রাঃ > প্রতিদিন ২-৩ বার
  • ৬-১২ বছরের মধ্যে শিশু: ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম > প্রতিদিন ২-৩ বার
  • ৫ বছরের কম বয়সী শিশু: ১২৫-২৫০ মিলিগ্রাম > প্রতিদিন ২-৩ বার

প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা (১২ বছর বা তার বেশি বয়সী) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টায় ১ থেকে ২ ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ টির বেশি ট্যাবলেট গ্রহণ করা যাবে না।

শিশু (৭ থেকে ১১ বছর) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টায় ১/২-১ ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে 4টির বেশি ক্যাপলেট গ্রহণ করা যাবেনা । ৭ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নির্দেশিত হয় না।

প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া মুখে খাওয়াতে হবে। ট্যাবলেট গুঁড়ো করা উচিত নয়।

 

এইস্‌ এর দাম

এইস্‌ ২৫০ মিঃ গ্রাঃ সাপোজিটরি এর মূল্য ৫.০৩ টাকা। এবং ২০ টির বক্সের মূল্য ১০০.৬০ টাকা মাত্র।

 

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

এইস্‌ ক্লোরামফেনিকল এবং কুমারিনের রক্ত জমাট বিরোধী গুন বাড়িয়ে দেয়। তাই অ্যালকোহল সেবনকারী অথবা যে সমস্ত রোগী খিচুনীর ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মাধ্যমে যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরীর ঝুঁকি বাড়তে পারে। এইস্‌ সাপোজিটরি এন্টিকোয়াগুলেন্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রোথ্রম্বিন সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। এলকোহল বা প্যারাসিটামলের লিভার মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এমন ঔষধ (যেমন-বারবিচুরেট, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট)-এর সাথে এটির যৌথ ব্যবহার লিভারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বৃদ্ধি করে।

 

কাদের প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত নয়?

যাদের প্যারাসিটামল, ক্যাফেইন বা এর অন্যান্য উপাদান গুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অনুমােদিত মাত্রায় এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। তবে কদাচিৎ ত্বকের সংক্রমণ যেমনঃ আর্টিকেরিয়া দেখা দিতে পারে। 

 

তীব্র ওভারডোজ

যদি কখনো ভুলবশত মাত্রাতিরিক্ত ডোজ সেবন করে ফেলেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রথম ২ ঘণ্টায় প্যারাসিটামল ওভারডোজের লক্ষণ হলোঃ

  • ফ্যাকাশে,
  • বমি বমি ভাব / বমি,
  • অ্যানোরেক্সিয়া এবং পেটে ব্যথা
  • লিভারের ক্ষতি গ্রহণের ১২ থেকে ৪০ ঘন্টা পরে স্পষ্ট হতে পারে
  • গ্লুকোজ বিপাক
  • বিপাকীয় অ্যাসিডোসিসের অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি।

উপরের লক্ষন গুলো যদি আপনার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভুলবশত মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করেছেন। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় খাওয়া ও স্তন্যদানকালে সেবনের পূর্বে  চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। 

 

সতর্কতা

তীব্র লিভার ও কিডনি রোগের ক্ষেত্রে এইস্‌ ২৫০ মিঃ গ্রাঃ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এ ঔষধ সেবনকালে অন্যান্য প্যারাসিটামল সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন করা যাবে না এবং অতিরিক্ত চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই অবশ্যই সেবনের পূর্বে এই সতর্কতা গুলো অনুসরণ করুন।

 

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন যেখানে আপনার শিশু পৌঁছাতে পারবে না।